বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্থানীয় ব্যবসা এবং কমিউনিটি সংযুক্ত করে দারাজ ১১.১১ ই-কমার্সকে ছড়িয়ে দিচ্ছে সবার কাছে

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১৬:৩৮

চ্যালেঞ্জিং এ সময়ে দারাজ প্লাটফর্মের গুরুত্বকে অনুধাবন করে দারাজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিয়ারকে মিকেলসেন বলেন, ‘অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির এ সময়ে, ব্যবসার প্রভাবের মাধ্যমে সমাজকে উন্নত করার আমাদের যে প্রতিশ্রুতি তা আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। এ বছর আমরা ক্রেতাদের জন্য অনলাইন কেনাকাটা আরও সহজলভ্য, সাশ্রয়ী এবং ফলপ্রসূ করার পাশাপাশি বিক্রেতাদের বিক্রয় সর্বাধিক করার লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করেছি। আমরা আমাদের ক্রেতা, বিক্রেতা, ব্র্যান্ড, ক্রিয়েটর, পার্টনার এবং দারাজের অসাধারণ টিমের প্রতি কৃতজ্ঞ যাদের সহায়তা ছাড়া দারাজ ১১.১১-এর বিপুল সফলতা সম্ভব হত না।’

দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্লাটফর্ম দারাজ সফলভাবে তাদের সেল ১১.১১-এর কার্যক্রম শেষ করেছে। বছরের সবচেয়ে বড় এ সেল এর মাধ্যমে এবার ২ কোটির বেশি গ্রাহককে সেবা প্রদানে সক্ষম হয়েছে বলে জানায় দারাজ।

দারাজ জানায়, এ বছর তাদের লক্ষ্য ছিল সবচেয়ে বড় সেল উৎসবের মাধ্যমে সকলের কাছে ই-কমার্সের সুযোগ সুবিধাগুলো পৌঁছে দেয়া। এ উদ্দেশ্যে তারা ১১.১১-তে অফার করেছে সেরা দাম এবং বৈচিত্র্যময় পণ্য সামগ্রী। সবচেয়ে বেশি বিক্রিত পণ্যের মধ্যে লবণ ও গুড়া দুধের মত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছিল অন্যতম। এর মাধ্যমে ক্রেতারা অনেক সঞ্চয় করতে সক্ষম হয়েছেন, যা লোকাল কমিউনিটির জীবনমান উন্নত করার যে প্রতিশ্রুতি দারাজ নিয়েছিল তা নিশ্চিত করে।

দারাজ বিক্রেতাদের অনলাইন ব্যবসা প্রসারিত করার প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে ৩০,০০০-এর অধিক ব্র্যান্ড এবং বিক্রেতাদের ১১.১১ সেলে বিক্রয়ের সুবিধা করে দিয়েছে। এ জন্য অনবোর্ডিং ওয়ার্কশপ অফার করা থেকে শুরু করে বিক্রেতাদের ব্যবসার খরচ কমানোর লক্ষ্যে নতুন কো-ফান্ডেড প্রোগ্রাম চালু করা পর্যন্ত বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় দারাজ। ফলে এবার দারাজে নন-ক্যাম্পেইন দিনের তুলনায় ১০০% এর অধিক বিক্রেতা ১১.১১ এর প্রথম ২৪ ঘন্টায় কমপক্ষে ১,৫০০ টাকার বিক্রয় করতে সক্ষম হয়েছেন।

এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এ সেল উৎসবে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি আয় করার সুযোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এ বছরের ১১.১১-তে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরগণ বিগত বছরের তুলনায় ৪০০% পর্যন্ত তাদের আয় বৃদ্ধি করতে পেরেছেন।

দারাজের ভাষ্য, তাদের এ বছরে আরও একটি উদ্দেশ্য ছিল সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলগুলোতে ই-কমার্সের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা। পুরো দেশে বছরের সবচেয়ে বড় সেলের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে দারাজ তাদের ডেলিভারি নেটওয়ার্ক আরও প্রসারিত করে, যার ফলে এ বছর ঢাকার বাইরের বিক্রেতাদের মাঝে ৬০০% প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়।

লজিস্টিক পার্টনারদের সহায়তায় দারাজ ২,৫০০-এরও বেশী রাইডার নিয়োগ করেছে যারা আরও বেশী বিক্রেতা এবং ক্রেতাদের মাঝে সংযোগ স্থাপন করছে। এবারের সবচেয়ে দূরের প্যাকেজটি চট্টগ্রাম থেকে তেঁতুলিয়া ডেলিভারির জন্য তারা ৫৭৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে।

চ্যালেঞ্জিং এ সময়ে দারাজ প্লাটফর্মের গুরুত্বকে অনুধাবন করে দারাজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিয়ারকে মিকেলসেন বলেন, ‘অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির এ সময়ে, ব্যবসার প্রভাবের মাধ্যমে সমাজকে উন্নত করার আমাদের যে প্রতিশ্রুতি তা আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। এ বছর আমরা ক্রেতাদের জন্য অনলাইন কেনাকাটা আরও সহজলভ্য, সাশ্রয়ী এবং ফলপ্রসূ করার পাশাপাশি বিক্রেতাদের বিক্রয় সর্বাধিক করার লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করেছি। আমরা আমাদের ক্রেতা, বিক্রেতা, ব্র্যান্ড, ক্রিয়েটর, পার্টনার এবং দারাজের অসাধারণ টিমের প্রতি কৃতজ্ঞ যাদের সহায়তা ছাড়া দারাজ ১১.১১-এর বিপুল সফলতা সম্ভব হত না।’

ক্রেতাদের সর্তক করে দারাজ জানায়, দারাজের নাম দাবি করা ফেইক সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ এবং ওয়েবসাইট থেকে সতর্ক থাকতে। শুধুমাত্র দারাজের নীল টিক চিহ্নযুক্ত ভেরিফায়েড সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোতে ভিজিটের মাধ্যমে দারাজের সকল ছাড় ও সেরা অফার সম্পর্কে আপডেটেড থাকতে হবে এবং সুরক্ষিতভাবে লেনদেন করতে শুধুমাত্র দারাজ ওয়েবসাইট (www.daraz.com.bd) এবং দারাজ অ্যাপের মাধ্যমে কেনাকাটা করতে হবে।

সামনে আসা অফার সম্পর্কে দারাজ জানায়, দারাজ গ্র্যান্ড ইয়ার-এন্ড ক্যাম্পেইন ১২.১২, যেখানে থাকবে আকর্ষণীয় সব ডিলস্‌। তাই এ সুযোগ পেতে স্মার্ট এবং সুরক্ষিত উপায়ে সবই কিনা যাবে দারাজ থেকে। যেকোনো তথ্যের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন দারাজের লাইভ চ্যাট অপশন অথবা কল করুন ১৬৪৯২ নম্বরে।

২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত দারাজ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মায়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। দারাজ বিশ্ব মানসম্পন্ন মার্কেটপ্লেস প্রযুক্তির মাধ্যমে ৬ লাখের বেশি সেলারের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে।

পাশাপাশি, সেলারদের এ অঞ্চলের দ্রুত বর্ধনশীল ৫০ কোটি গ্রাহকের সঙ্গে যুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে দারাজ। দারাজ এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি বাজারের সবচেয়ে কার্যকরী ও ডিজিটালাইজড লজিকটিকস অবকাঠামো পরিচালনা করছে। দারাজের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার ৫ কোটি ক্রেতা ও ব্যবসাকে সেবা প্রদান করা।

এ বিভাগের আরো খবর