দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর অবরোধ ও হরতালে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মন্তব্য করে সমাধানের পথ বাতলে দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আতিউর তার এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অনারারি এ অধ্যাপক বলেন, যানবাহনে আগুন দেয়ার আশঙ্কা বাস্তব।
তিনি বলেন, বিক্ষোভের কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ ও রপ্তানি উভয়ের জন্য পণ্য পরিবহনের ব্যয় বেড়েছে। এ ছাড়া সড়কে যানবাহন চলাচল না করায় অধিকাংশ পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়েছেন। এগুলো মূলত অস্থায়ী কর্ম এবং এই ধারাবাহিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে হাজার হাজার মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এ অর্থনীতিবিদ বলেন, চলমান অস্থিরতা কেবল অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলকে বিঘ্নিত করছে না, এর কারণে আন্তজেলা ট্রাক ও কনটেইনারবাহী যান রাস্তায় চলাচল করতে না পারায় আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খল প্রভাবিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এ গভর্নরের মতে, পরিবহন ব্যাহত হওয়ার কারণে কৃষি উৎপাদকরা তাদের পণ্যের দাম পাচ্ছেন না। অন্যদিকে শহুরে ভোক্তারা বেশি দাম দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
তিনি বলেন, যানবাহন ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ ও হামলার হুমকিসহ অস্থিরতা এরই মধ্যে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যেখানে ব্যবসায়িক আস্থা ধীরে ধীরে সংকুচিত হচ্ছে। এটি বিনিয়োগের মাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।
বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসন নিয়ে আতিউর রহমান বলেন, প্রথম সর্বোত্তম সমাধানটি হবে যেকোনো মূল্যে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনি ট্রেনে তোলা। প্রয়োজনে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আরও বেশি দলকে আকৃষ্ট করতে তফসিল আরও নমনীয় করতে পারে নির্বাচন কমিশন। যদি কিছু দল এ ধরনের সমন্বয়ের পরও নির্বাচনি ট্রেন এড়িয়ে যায়, তবে প্রতিদ্বন্দ্বী দল এবং স্বতন্ত্র হিসেবে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের সামনে এগিয়ে যেতে দিতে হবে।