দেশে তৈরি পোশাক শিল্প খাতে চলমান অস্থিরতা নিয়ে বিদেশি ক্রেতারা উদ্বিগ্ন এবং তারা আপাতত নতুন কার্যাদেশ দিচ্ছে না।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেছেন। এ সময় সংগঠনটির সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে ফারুক হাসান বলেন, ‘ক্ষতি যেটা হলো, ক্রেতারা অর্ডার হোল্ড করে রেখেছেন। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে তারা নতুন করে অর্ডার দেবে না।
‘আমরা তাদের (ক্রেতাদের) বোঝানোর চেষ্টা করছি যে দেশের মোট পোশাক কারখানার মাত্র ৫ শতাংশ (অস্থিরতার কারণে) প্রভাবিত হয়েছে, আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’
ফারুক বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগেই নতুন মজুরি বোর্ড কার্যকর করতে হবে, যাতে এর মধ্যে ভোটের ইস্যু চলে না আসে। আর বিষয়টি আমরা সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে (সরকারকে) এ বিষয়ে অবহিত করব।’
বিজিএমইএ সভাপতি জানান, রোববার পর্যন্ত ১৩০টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। তবে চলমান অস্থিরতার কারণে পোশাক শিল্প খাতে কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি।
এ মুহূর্তে নতুন নিয়োগ পোশাক কারখানাগুলোর ওপর বাড়তি বোঝা তৈরি করবে উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘কোনো কারখানার যদি কাজ বেশি থাকে, তাহলে যে কারখানায় কাজ কম, সেখান থেকে কাজ করিয়ে নেবে। এতে ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং যে অতিরিক্ত সক্ষমতা তৈরি হয়েছে তা কিছুটা প্রশমিত হবে।’