বাজারে আগুন। দিন দিন বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে এখনো কমেনি কোনো পণ্যের দাম। এতে করে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
ক্রেতাদের বলছেন, দিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। বিশেষ করে মাছ-মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় স্বস্তিতে নেই তারা।
শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁপে ছাড়া অন্য কোনো সবজি প্রতি কেজি ৮০ টাকার নিচে মিলছে না। অধিকাংশ বিক্রি হচ্ছে একশো টাকা বা তার চেয়ে বেশি দরে। এ ছাড়া মাছের দামও কেজিতে বেড়েছে অন্তত ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।
শুধু তাই নয়, আমদানির পরেও ডিমের বাজারের অস্থিরতা কাটেনি। বেশি দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে ডিম। শেষ এক সপ্তাহে প্রতি হালি ডিমের দাম পাঁচ টাকা বেড়ে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড়বাজার থেকে কিনলে ডিমের ডজন পড়ছে ১৬০ টাকা, যা পাড়া-মহল্লার খুচরা দোকানে ১৬৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের একটি ডিম খেতে গুনতে হচ্ছে ১৫ টাকা। অথচ সরকার প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
এদিকে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। এখন দেশি ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে বাজারে।
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, ক্ষেতে সবজি পচে নষ্ট হচ্ছে। সরবরাহ বিঘ্ন হওয়ায় দাম বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গোল বেগুন কেজিতে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং লম্বা বেগুন কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা, কচুরমুখি, বরবটি, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। আর ঢেঁড়স, পটল, ঝিঙা, চিচিঙা ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে বাজারগুলোতে। কম দামের মধ্যে মুলার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা আর পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করছে বিক্রেতারা।
মাছ মাংসও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে বাজারগুলোতে। ১০ টাকার মতো বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ এবং সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া পাঙাশ, চাষের কই ও তেলাপিয়া জাতীয় মাছের কেজিও এখন ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা। রুই, কাতলা, কালিবাউশ ও মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। যা কয়েক সপ্তাহ আগের তুলনায় ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি বলে জানিয়েছেন মাছ বিক্রেতারা।