চলতি বছর আয়কর মেলার পরিবর্তে মাসব্যাপী মিনি করমেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। করদাতাদের সুবিধার্থে দেশের সব কর অঞ্চলে নভেম্বর জুড়ে মিনি করমেলার আয়োজন করা হবে।
আয়কর মেলার আদলে কর অফিসে করদাতারা পাবেন ‘ওয়ানস্টপ’ সেবা। এছাড়া অনলাইনে চালান, বিকাশ, রকেট, নগদ কিংবা ইউক্যাশ ব্যবহার করে ঘরে বসেই কর দেয়ার সুবিধা পাবেন করদাতারা।
২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে করোনা মহামারির কারণে আয়কর মেলা বন্ধ ছিল। মহামারি শেষ হলেও বাড়তি খরচ বিবেচনায় এবারও আয়কর মেলা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এনবিআরের পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মুমেন বলেন, ‘কর মেলা না হলেও নভেম্বর মাসব্যাপী প্রতিটি কর অঞ্চলে মেলার পরিবেশে করদাতারা আয়কর রিটার্ন দাখিলসহ সব ধরনের সেবা নিতে পারবেন।
এছাড়া করদাতাদের তথ্য সরবরাহ করার জন্য কর অঞ্চলগুলো ছাড়াও সচিবালয়, অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে অস্থায়ীভাবে কর তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু করা হবে। এসব কেন্দ্রেও আয়কর রিটার্ন দাখিলসহ অন্যান্য করসেবা ও কর সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে।
এনবিআরের অন্য একটি সূত্র জানায়, করদাতাদের সুবিধার্থে এনবিআর বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মাঠ পর্যায়ের সব কর অফিস তা বাস্তবায়ন করবে।
মাসব্যাপী মিনি করমেলায় যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে তার মধ্যে অন্যতম হলো, আয়কর মেলার পরিবর্তে কর কমিশনার অঞ্চলগুলোতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে ও উৎসবমুখর পরিবেশে ১ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন গ্রহণের জন্য করদাতাদের সেবা দেয়া হবে।
প্রতিটি অফিসে উন্মুক্ত স্থান বা কার পার্কিং এরিয়ায় রিটার্ন গ্রহণ বুথ ও হেল্প ডেস্ক স্থাপন করে রিটার্ন গ্রহণের পরিবেশকে আকর্ষণীয় করে তোলা হবে। একইসঙ্গে রিটার্ন দাখিলকারী করদাতাদের তাৎক্ষণিক প্রাপ্তি স্বীকারপত্রের সঙ্গে রিটার্ন দাখিলের জন্য উৎসাহ প্রদানে উপহার দেয়া হবে।
সব কর কমিশনার সেবা কেন্দ্রে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা থাকবে।
প্রতিটি কর অঞ্চলের নিজস্ব ওয়েবসাইট তথ্যসহ হালনাগাদ করা হবে। ওই ওয়েবসাইটে আয়কর সংক্রান্ত বিভিন্ন ফর্ম, পরিপত্র, রিটার্ন পূরণের নির্দেশিকা, ভিডিও টিউটোরিয়ালসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সন্নিবেশ করা হবে।
কর অঞ্চলগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রচার অব্যাহত রাখবে। অন্যান্য মাধ্যমের পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমেও প্রচার চালানো হবে।
মিনি করমেলার শেষ দিন ৩০ নভেম্বর জাতীয় আয়কর দিবস উদযাপন করা হবে।
২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর কর মেলা আয়োজন করে আসছে এনবিআর। ইতোমধ্যে এই কর মেলা সাধারণ করদাতাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে গত বছরও করোনা বিবেচনায় মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। এনবিআরের আওতাধীন সারাদেশে ৪০টি কর অঞ্চল রয়েছে।