প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জন্য বিনা মূল্যে স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রকল্প পরিচালনা করছে জহির স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং মিলস (জেডএসআরএম) ও বেসরকারি সংস্থা সম্ভাবনা।
এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের বিনা মূল্যে স্বল্পমেয়াদি হস্তশিল্প ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেবে সম্ভাবনা।
মঙ্গলবার ওই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ এবং প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সহযোগী প্রতিষ্ঠান জেডএসআরএমের চেয়ারম্যান হাসান উদ্দিন আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম রাজন ও মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট সামিমা হক।
প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে জেডএসআরএমের সহযোগিতায় ঢাকার ৪০ জন এবং পাবনা জেলার ৪০ জনসহ মোট ৮০ জন নারীকে ব্লক-বাটিক এবং হস্তশিল্পবিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা তাদের অভিজ্ঞতা ও কাজের প্রয়োজনীয়তার কথা ব্যক্ত করেন।
এ প্রকল্প সম্পর্কে জেডএসআরএমের চেয়্যারম্যান হাসান উদ্দিন আহমেদ জানান, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে একসঙ্গে কাজ করলে এগিয়ে যাবে দেশ। তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদের কাজের অগ্রগতিকে সাধুবাদ জানান এবং আরও উন্নতমানের ও বাণিজ্যিকভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।
এ প্রকল্প সম্পর্কে জেডএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম রাজন বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করতে নারীদের অবদান অনস্বীকার্য। এখনকার নারীরা ঘরে-বাইরে সমান হারে কাজ করছে। জেডএসআরএম নারীদের এ অবদানকে সম্মান জানিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের অনুপ্রেরণা জোগাতে কাজ করে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি প্রকল্পে কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সম্ভাবনার প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল ইসলাম এ প্রকল্প সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে তাই নারীর ভূমিকা অসামান্য। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখাতে এবং নারীর সমতা আনতে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘নারীদের স্বাবলম্বী করার মতো অলাভজনক, কিন্তু উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করায় জেডএসআরএমকে সাধুবাদ জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারীদের স্বাবলম্বী করতে ও নারী দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করে অনিন্দিত নারী দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র। সম্ভাবনার পরিচালনায় দেশের খ্যতিমান যুব প্রশিক্ষকদের অংশগ্রহণে ও দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় প্রতিষ্ঠানটি নারীদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।
‘বস্তিবাসী ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন, সেলাই প্রশিক্ষণ, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, শিশুর শিক্ষাবিষয়ক সচেতনতা প্রদান, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ সুবিধাবঞ্চিত নারীদের স্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কাজ করছে অনিন্দিত নারী।’