বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগামী অর্থবছর বাংলাদেশের জন্য ভালো বছর হবে

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৮:৫০

এডিবির সবশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোজোনে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদার উন্নতি এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে উন্নতির প্রতিফলন ঘটেছে। বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি ২০২৩ অর্থবছরে ৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৪ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে আনুমানিক ৬ শতাংশ। তবে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সবশেষ প্রতিবেদনে এমন তথ্যের উল্লেখ করে বলেছে, বাংলাদেশের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছর একটি ভালো বছর হবে।

এডিবির সবশেষ প্রতিবেদন ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর ২০২৩’-এ এমন তথ্য জানানো হয়েছে, যা বুধবার প্রকাশিত হয়েছে। সূত্র: ইউএনবি

এডিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ইউরোজোনে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদার উন্নতি এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধির উন্নতির প্রতিফলন ঘটেছে।

বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি ২০২৩ অর্থবছরে ৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৪ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি বাড়লে চলতি হিসাব ঘাটতি ২০২৩ অর্থবছরে জিডিপির শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কিছুটা কমে ২০২৪ অর্থবছরে জিডিপির শূন্য দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে একইসঙ্গে বলা হয়েছে, এই প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসের প্রধান ঝুঁকি হলো বৈশ্বিক চাহিদা প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল হলে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির আরও অবনতি ঘটতে পারে।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, ‘সরকার বৈদেশিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার বিরুদ্ধে তুলনামূলক ভালোভাবেই দেশের অর্থনীতি পরিচালনা করছে। একইসঙ্গে বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে অবকাঠামো উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

‘এই মূল কাঠামোগত সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে- সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বৃদ্ধি করা, লজিস্টিক উন্নত করা এবং আর্থিক খাতকে গভীর করা- যা বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং মাঝারি মেয়াদে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

এডিমন গিন্টিং উল্লেখ করেন, তেলের অব্যাহত উচ্চ মূল্য অভ্যন্তরীণ পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ সম্প্রসারণ এবং দেশের জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংস্কারকে ত্বরান্বিত করার জন্য একটি ভালো প্রণোদনা সরবরাহ করে।

এডিও সেপ্টেম্বর ২০২৩-এ বলা হয়েছে, মাঝারি মুদ্রাস্ফীতি এবং রেমিট্যান্স বৃদ্ধি বেসরকারি খরচ পুনরুজ্জীবিত করতে অবদান রাখবে। আর বেশ কয়েকটি বড় সরকারি অবকাঠামো প্রকল্প সম্পন্ন হলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।

তবে দেশের আর্থিক নীতি কাঠামো বৃদ্ধির পর প্রাথমিক উচ্চ সুদ হারের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ কমে যেতে পারে।

বৈশ্বিক নন-ফুয়েল পণ্যের দাম কিছুটা হ্রাস, প্রত্যাশিত উচ্চতর কৃষি উৎপাদন এবং নতুন কাঠামোর অধীনে আর্থিক নীতির প্রাথমিক কঠোরতার সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি ২০২৪ অর্থবছরে কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর