বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আন্তব্যাংক লেনদেনে ডলারের দরে রেকর্ড

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০৫

১৫ জুন আন্তব্যাংক লেনদেনে টাকা-ডলারের বিনিময় হার ১০৯ টাকায় ওঠে। এরপর কিছুদিন ১০৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১০৯ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়। বেশ কিছুদিন টাকা-ডলার বিনিময় হার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সায় স্থির ছিল। মঙ্গলবার আরও ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১১০ টাকা করা হয়েছে।

বাংলাদেশে আন্তব্যাংক লেনদেনে ডলারের দর রেকর্ড ১১০ টাকায় উঠেছে। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে আন্তব্যাংকের এ‌ই দর বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।

১৫ জুন আন্তব্যাংক লেনদেনে টাকা-ডলারের বিনিময় হার ১০৯ টাকায় ওঠে। এরপর কিছুদিন ১০৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১০৯ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়। বেশ কিছুদিন টাকা-ডলার বিনিময় হার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সায় স্থির ছিল। মঙ্গলবার আরও ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১১০ টাকা করা হয়েছে।

এদিকে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটেও ডলারের দর ঊর্ধ্বমুখী। মঙ্গলবার এই বাজারে ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা দরে ডলার বিক্রি হয়েছে। তিন সপ্তাহ ধরে ১১৭ টাকা থেকে ১১৮ টাকায় ডলার কেনাবেচা হচ্ছে। এক বছর আগে গত বছরের ৩০ আগস্ট এই দর ছিল ৯৫ টাকা। সে হিসাবে এক বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ১৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ডলারের এ দরের সঙ্গে ব্যাংক গ্রাহকের কাছ থেকে কমিশন আকারে ১০ থেকে ৫০ পয়সা পর্যন্ত যোগ করে। ফলে গ্রাহকপর্যায়ে ডলারের দর আরও বাড়ে।

গত বছরের মার্চে দেশে শুরু হওয়া ডলারের সংকট এখনও কাটেনি। অনেক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, পণ্য আমদানিতে তারা চাহিদামতো ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছেন না। অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে সেবা দিয়ে যে আয় ও মুনাফা করেছে, তা-ও নিজ দেশে নিতে পারছে না।

বাজারে চাহিদা বাড়লেও জোগান কমছে ডলারের। আর এতে আন্তব্যাংক লেনদেনে এই বিদেশি মুদ্রার দাপট অব্যাহত রয়েছে। নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার পরও অস্থির ডলারের বাজারে স্বস্তি ফিরে আসছে না।

এক বছর আগে ডলারের বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে গত ১৬ মে আন্তব্যাংকে ডলারের দর উঠেছিল ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। এরপর সামান্য কিছু বেড়ে ১০৮ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত উঠে ফের ১০৮ টাকা ৫০ পয়সায় নেমে অবস্থান করছিল মে মাসের শেষের দিকে। জুন মাসের দুই সপ্তাহ ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০৮ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে লেনদেন হয়। ১৫ জুন ১০৯ টাকায় ওঠে।

বৈদেশিক ‍মুদ্রা আয়-ব্যয়ের খরচে ঘাটতি দেখা দেয়ায় সবশেষ ৩১ আগস্ট রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের বিপরীতে ডলারের দর ফের বাড়ায় বিদেশি মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন-বাফেদা ও ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ-এবিবি।

১ সেপ্টেম্বর থেকে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে ডলারের দর হবে একই; ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। এতদিন রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দর ছিল ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। আর রেমিট্যান্সের জন্য ছিল ১০৯ টাকা। এ ছাড়া আমদানি ও আন্তব্যাংকে ডলারের সর্বোচ্চ দর হবে ১১০ টাকা। এতদিন তা ছিল ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।

এতদিন আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও নগদ বিক্রিতে ডলারের দর ছিল ভিন্ন ভিন্ন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল বৈদেশিক মুদ্রার একাধিক দর না রেখে একক দর করতে হবে।

আইএমএফের সেই শর্ত মেনেই আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও নগদ কেনাবেচায় বিদেশি মুদ্রার একাধিক বিনিময় হারকে একটিতে নামিয়ে আনার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার টাকা-ডলার বিনিময় হার আরও ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১১০ টাকা করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর