ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বর্জ্য পানি প্রশান্ত মহাসাগরে ছাড়তে শুরু করেছে জাপান।
সুনামিতে বিধ্বস্ত ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এই পানি ছাড়া শুরু হয় বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।
এ ঘটনার জেরে জাপানের সকল সামুদ্রিক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চীন।
চীনের শুল্ক ব্যুরোর একটি বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, জাপানের তেজস্ক্রিয় দূষণ নিয়ে চীন যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। তাই জাপান থেকে সামুদ্রিক লবণ ও সামুদ্রিক খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য সামুদ্রিক পণ্যের ওপরও নিষেধাজ্ঞা প্রদান করছে চীন।
২০১১ সালের সুনামিতে ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক প্লান্টটি ধ্বংস হয়। দুই বছর আগে জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা এটি খালি করার অনুমতি দেয় দেশটিকে।
টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার (টেপকো) জানায়, প্রশান্ত মহাসাগরে তেজস্ক্রিয় পানি নিষ্কাশন শুরু হয়েছে স্থানীয় সময় দুপুর একটার দিকে। এ নিষ্কাশনের ফলে এখন পর্যন্ত কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি।
তবে, জাপানের এ পরিকল্পনার বিষয়ে চীন বিরোধিতা করে জানিয়েছে, জাপান সরকার এ পানির নিরাপত্তা বিষয়ে কোনো প্রমাণপত্র পেশ করেনি।
টোকিও এ বিষয়ে সমালোচনা করতে গিয়ে বলেছে, জাপানের এ নিরাপদ পানি নিষ্কাশনের দাবি বৈজ্ঞানিকভাবে ভিত্তিহীন।
তবে জাপান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অবিলম্বে সামুদ্রিক পণ্যের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চীনকে অনুরোধ করেছে।
পানি নিষ্কাশনের বিজ্ঞানভত্তিক প্রভাব নিয়ে আলোচনার জন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা চীনকে আহ্বান জানিয়েছেন।
চীনের কাস্টমস তাদের দেয়া নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন সামুদ্রিক পণ্যের বিবরণ দেয়নি। তারা এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্যও প্রদান করেনি।