ডিজিটাল ব্যাংক খোলার লাইসেন্স পেতে মোট ৫২টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। লাইসেন্স পেতে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পৃথকভাবে এবং কেউ কেউ যৌথভাবে আবেদন করেছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস), রাইড শেয়ারিং ও ফুড ডেলিভারি কোম্পানি এবং দেশীয় ও বহুজাতিক কোম্পানি। সূত্র: ইউএনবি
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক রোববার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আবেদনগুলো যাচাই করা হবে। যারা নীতিমালা অনুযায়ী আবেদন করেছে এবং যোগ্য তাদের লাইসেন্সের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বোর্ড লেটার অফ ইনটেন্ট (এলওআই) ইস্যু করবে।’
তিনি জানান, ‘ডিজিটাল ব্যাংক’ সম্পূর্ণরূপে প্রযুক্তিনির্ভর হবে। প্রকৃত শাখা, উপশাখা ও এটিএম বুথ ছাড়া কোনো শারীরিক লেনদেন হবে না। নীতিমালা অনুযায়ী মোবাইল ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা দেয়া হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে ডিজিটাল ব্যাংক আবেদনের জন্য একটি ওয়েব পোর্টাল খুলেছে। এই ব্যাংকের সব প্রক্রিয়া প্রথাগত পদ্ধতিতে কাগজের নথি জমা দেয়ার পরিবর্তে ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হবে।
অর্থাৎ প্রয়োজনীয় সব নথি ডিজিটালি জমা দিতে হবে। আবেদনের ফি হবে ৫ লাখ টাকা, যা অফেরতযোগ্য।
ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য প্রাথমিক মূলধন ১২৫ কোটি টাকা এবং পরিচালক হতে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে। যারা এই নতুন ব্যাংক শুরু করতে আগ্রহী তাদের নতুন ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ১৪ জুন ‘ডিজিটাল ব্যাংক’ চালুর অনুমোদন দেয়। পরদিন এ বিষয়ে নীতিমালা জারি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২১ জুন অনলাইনে আবেদন জমা দেয়ার জন্য একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।