দেশের প্রথম একক শিল্পমেলা ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্সড কম্পোনেন্টস অ্যান্ড টেকনোলজি (এটিএস) এক্সপো-২০২৩’ শেষ হয়েছে।
তিন দিনব্যাপী এই শিল্পমেলার আয়োজনে ছিল ওয়ালটন। দেশি-বিদেশি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই আয়োজন। সার্বিকভাবে সফলতা পেয়েছে এটিএস এক্সপো।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর কুড়িলে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) হল-১ এ আয়োজিত ‘এটিএস এক্সপো-২০২৩’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এমন তথ্য জানায় আয়োজক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।
এটিএস এক্সপো’র সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ওয়ালটন লাসভেগাসের ফেয়ারে অংশগ্রহণ করেছে, জার্মানিতে পণ্য রপ্তানি করেছে। এসব সংবাদ যখন শুনি তখন খুব গর্ববোধ করি। আগে ভাবতাম জাপান, চীন এসব দেশ টেকনোলজি পণ্য ও কম্পোনেন্টস তৈরি করতে পারবে; আমরা পারবো না।
‘কিন্তু এটিএস এক্সপোতে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশও ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাক্ট ও টেকনোলজি পণ্য তৈরির সক্ষমতা দেখিয়েছে। ওয়ালটনের সামনে এগিয়ে যাওয়ার বিশাল ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। ওয়ালটন এই এক্সপোতে সেই ক্ষমতা দেখালো। জাপান, জার্মানি, আমেরিকা, ভারত- সব দেশের সঙ্গে সমানতালে বাংলাদেশকে সম্মানের সঙ্গে এগিয়ে নেয়ার অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ওয়ালটন।’
এটিএস এক্সপোতে চারটি ক্যাটাগরিতে মোট ২১টি স্টলে ওয়ালটনের তৈরি আন্তর্জাতিক মানের ৫০ হাজারেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, সার্ভিসেস ও টেস্টিং ফ্যাসিলিটিস প্রদর্শন করা হয়।
এসবের অধিকাংশই প্রায় সব ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধাপে প্রধান কাঁচামাল ও কম্পোনেন্টস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নিজস্ব চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আমদানি বিকল্প গুণগতমানের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস ও টেস্টিং সলিউশনস প্রদানের মাধ্যমে আমদানিনির্ভরতা হ্রাসের মাধ্যমে বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় ও দেশীয় শিল্পের ক্ষমতায়নে অবদান রাখবে ওয়ালটন।