ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে পণ্যটি আমদানির অনুমতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে আগস্ট মাসের চালসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে টাউন হলে রোববার এ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে ডিমের দাম কত হবে, তা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দিলে আমাদের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ডিমের বাজার হঠাৎ অস্থিতিশীল হওয়ায় ভোক্তা অধিকার রাতে-দিনে রাজধানীর বিভিন্ন আড়তে অভিযান চালাচ্ছে এবং জরিমানা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চাইলেই ডিম আমদানি করতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ইমপোর্ট পারমিশন লাগবে। তাদের সহযোগিতা ছাড়া ডিম আমদানি করার সুযোগ নেই।
‘আমি আশা করি খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গ্রিন সিগন্যাল দিলেই ডিম আমদানির উদ্যোগ নেয়া হবে।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে টিপু মুনশি জানান, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চিনি আমদানি করা ছাড়াও স্থানীয় বাজার থেকে কেনা হয়। কারণ অনেক সময় চিনি দেশে এসে পৌঁছাতে দেরি হয়। আবার জাহাজ বন্দরে এলে নানা জটিলতায় খালাসে সময় লাগে। এতে করে চাহিদার জোগান দিতে বেগ পেতে হয়। এ কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজার থেকে চিনি কেনা হয়ে থাকে।
ভারত থেকে কোটায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, চলতি মাসেই তিনি ভারত সফরে গিয়ে সেই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। তখন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
তিনি জানান, টিসিবির মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ডাল, চিনি ও তেল বিক্রি করছে। গত মাস থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে।