বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করবে ইলেক্ট্রনিক্স শিল্প

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১২ আগস্ট, ২০২৩ ২১:২১

বিশেষজ্ঞরা ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ নিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে দেশের ইলেক্ট্রনিক্স শিল্প বিকাশের জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি ‘সেন্ট্রাল ফোরাম’ গঠনের আহ্বান জানান। পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবার আগে নাগরিকদের চিন্তা, চেতনা ও আচরণে স্মার্ট হওয়ার আহ্বান জানান তারা।

বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে পোশাক খাতের পর সম্ভাবনাময় ইলেক্ট্রনিক্স শিল্পের টেকসই বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডি করবে এই শিল্প। সেজন্য এই শিল্প খাতে সরকারি পর্যাপ্ত নীতি সহায়তা প্রয়োজন।

তিন দিনব্যাপী এটিএস শিল্পমেলার প্রদর্শনীস্থলে শুক্রবার আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশীয় শিল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।

রাজধানীর কুড়িলে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এই এটিএস শিল্পমেলার আয়োজন করা হয়েছে।

আলোচনায় অংশ নেয়া বিশেষজ্ঞরা ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ নিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে দেশের ইলেক্ট্রনিক্স শিল্প বিকাশের জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি ‘সেন্ট্রাল ফোরাম’ গঠনের আহ্বান জানান। পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবার আগে নাগরিকদের চিন্তা, চেতনা ও আচরণে স্মার্ট হতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মোর্শেদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, বুয়েটের অধ্যাপক ড. অলোক কুমার মজুমদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও ইফাদ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান তাসকিন আহমেদ।

সভায় গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘পোশাক শিল্পের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় সম্ভাবনাময় খাত ইলেক্ট্রনিক্স শিল্প। মেড ইন বাংলাদেশ নিয়ে পোশাক শিল্প দেশকে ব্র্যান্ডিং করতে না পারলেও আমরা ইলেক্ট্রিক্যাল, ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পৃথিবীতে এক নামে পরিচিত করাতে পারব। সম্মিলত প্রচেষ্টায় বিশ্বে আমরা নেতৃত্বও দিতে পারব।’

এ এইচ এম আহসান বলেন, ‘নতুন সম্ভাবনাময় শিল্পগুলোকে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। দেশের রপ্তানি বহুমুখীকরণে বেশকিছু স্ট্র্যাটেজি নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক মেলায় দেশীয় পণ্যের অংশগ্রহণে সহায়তা করছে ইপিবি।

‘পাশাপাশি দেশীয় শিল্প বিকাশের স্বার্থে ট্রেড মিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিল্পোদ্যাক্তাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন দেশে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় কৌশলগত নীতি সহায়তা দিচ্ছে ইপিবি।’

মো. আব্দুর রহিম খান বলেন, ‘দেশীয় শিল্পোন্নয়ন সহায়ক নীতি, সরকারি ও বেসরকারি খাত সমানভাবে কাজ করে যাওয়ায় বাংলাদেশের উন্নয়ন এগিয়ে যাচ্ছে। শিল্প নীতিতে আমদানি বিকল্প দেশীয় শিল্পের বিকাশ উৎসাহিত করা হচ্ছে।

‘দেশীয় শিল্পের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ও নীতি সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলেই দেশে ইলেক্ট্রনিক্স ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের বিকাশ ঘটছে এবং বাজার তৈরি হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’

তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করলেও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে এগিয়ে থাকতে সরকার জাতীয়ভাবে দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

তাসকিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে গার্মেন্টস-এর চেয়েও সম্ভাবনাময় শিল্প খাত হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক্স ও অটোমোবাইলস শিল্প। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ইলেক্ট্রনিক্স শিল্প তার বিশাল সম্ভাবনার স্বাক্ষর রেখেছে।’

অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কয়েকটি ব্র্যান্ডের মাধ্যমে আমরা কোরিয়া ও জাপানকে চিনেছি। বর্তমানে ওয়ালটনকে দিয়ে প্রযুক্তি খাতে বিশ্ব বাংলাদেশকে চিনবে।’

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। ব্যাপক কান্ট্রি ব্র্যান্ডিং-এর ওপরও তিনি জোর দেন।

ড. অলোক কুমার মজুমদার বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবার আগে নাগরিকদের চিন্তা, চেতনা ও আচরণে স্মার্ট হতে হবে। দেশের অর্থনীতিকে স্মার্ট করে তুলতে হবে।’

সেজন্য তিনি দেশের শিল্প খাত, সাধারণ নাগরিক ও শিক্ষা ব্যবস্থায় আইওটি এবং ন্যানো টেকনোলজি ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর