বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেছেন, ‘ওয়ালটন বাংলাদেশের আইকন। আমাদের কাছে একটা বিষ্ময় ও আলোকবর্তিতা। এমন কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রনিক পণ্য নেই যা ওয়ালটন তৈরি করছে না। ওয়ালটনের জন্য দেশের বিলিয়ন ডলারের আমদানি ব্যয় সাশ্রয় হয়েছে। ব্যাপকসংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের রপ্তানি আয় ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অবদান রাখছে প্রতিষ্ঠানটি।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ওয়ালটন আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্সড কম্পোনেন্টস অ্যান্ড টেকনোলজি এক্সপো (এটিএস) ২০২৩’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
দেশি-বিদেশি শিল্প উদ্যোক্তা ও ক্রেতাদের কাছে ওয়ালটন উৎপাদিত ৫০ হাজারের বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, টেস্টিং ল্যাব ও ফ্যাসিলিটি তুলে ধরার লক্ষ্যে তিনদিনব্যাপী এই আয়োজন চলবে শনিবার পর্যন্ত।
এটিএস এক্সপোতে চারটি ক্যাটাগরিতে মোট ২১টি স্টলে ওয়ালটনের তৈরি আন্তর্জাতিক মানের ৫০ হাজারের বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, সার্ভিসেস ও টেস্টিং ফ্যাসিলিটিস প্রদর্শন করা হচ্ছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে এটিএস এক্সপো’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম ও নিশাত তাসনিম শুচী, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, ডিসিসিআই সভাপতি সামীর সাত্তার, ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল. আউসান জেআর, পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর প্রমুখ।
এটিএস এক্সপো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ালটনের পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। সঞ্চালনায় ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, ওয়ালটনের উচ্চ প্রশিক্ষিত দক্ষ প্রকৌশলীরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজে ৫০ হাজারের বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস তৈরি করছেন। এসব কম্পোনেন্টস দেশের অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানও যেন কাজে লাগাতে পারে সেজন্য এটিএস এক্সপো আয়োজনের এই উদ্যোগ।
ওয়ালটনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো বাংলাদেশী ব্র্যান্ড তার টেকনোলজি ও সলিউশন দিয়ে সক্ষমতা প্রদর্শনের আয়োজন করেছে। এটিএস এক্সপোর মাধ্যমে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প খাত, দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা তুলে ধরা হচ্ছে।’
বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিতে বাংলাদেশের যে উত্থান তার পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে ওয়ালটন। তারা দেশে হাজার হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কারিগরি ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের জন্য এখন দেশের ভেতরেই কর্মসংস্থান তৈরি করেছে ওয়ালটন। উদ্ভাবন ও গবেষণায় ওয়ালটন আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে বলে আমি আশাবাদী।’
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন অনেকদূর এগিয়ে গেছে। দেশে ব্যবসা-বান্ধব পলিসি এবং শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ ওয়ালটন। সরকারের ব্যবসা-বান্ধব পলিসির কারণেই ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠান এই পর্যায়ে আসতে পেরেছে। ওয়ালটন দেশের চাহিদা মিটিয়ে অনেক দেশে তাদের পণ্য রপ্তানি করছে। এটা বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়।’
ডিসিসিআই সভাপতি সামীর সাত্তার বলেন, “ওয়ালটন এখন দেশের শীর্ষ ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড। তারা দেশেই ইলেকট্রনিক্স পণ্য, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস ও সলিউশনস উৎপাদন করছে। তারা দেশের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প খাতেও সার্ভিস দিচ্ছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ওয়ালটনের প্রবৃদ্ধি গর্ব করার মতো। বিশ্ববাজারে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত পণ্যের পরিচিতিতে বিশেষ অবদান রাখছে ওয়ালটন।”
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ওয়ালটন ৫০ হাজারের বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস তৈরি করছে তা সত্যিকার অর্থে এক বিশাল ব্যাপার। বাংলাদেশের ইলেক্ট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রি ওয়ালটনের হাত ধরে আরো বহুদূর এগিয়ে যাবে।’
ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল. আউসান জেআর বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে ওয়ালটন।
ফিলিপাইনের বাজারেও ওয়ালটনের ব্যবসা সম্প্রসারণের আহ্বান জানান তিনি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।