মাসের শুরুর দিকে সাধারণত ইতিবাচক দেখা যায় পুঁজিবাজারের লেনদেন পরিস্থিতি। তবে বর্তমান নেতিবাচক বাজারের মাসে সপ্তাহের প্রথম দিনেও গতি ফিরে পাচ্ছে না পুঁজিবাজার। রোববার একদিকে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস, অন্যদিকে মাসের ৬ তারিখ হওয়ার পরও দেশের দুই পুঁজিবাজারের সবগুলো সূচকের পতন হয়েছে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ (রোববার) প্রধান সূচক (ডিএসইএক্স) প্রায় ১৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান নিয়েছে ৬ হাজার ৩ শ ১৫ পয়েন্টে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য দুটি সূচকেও ছিল নেতিবাচক ধারা।
নির্বাচিত ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচকেও এদিন পতন হয়েছে প্রায় নয় পয়েন্ট। ডিএসই শরিয়াহ সূচক কমেছে প্রায় ৫ পয়েন্ট।
রোববার লেনদেনর খরাও প্রকট হয়েছে ঢাকার বাজারে। এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ৪ শ’ ১৭ কোটি টাকা, যা এর আগের কর্মদিবস থেকে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা কম। লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৯টির, কমেছে ১৩৪টির আর অপরিবর্তিত দেখা গেছে ১৬০টি কোম্পানির দর।
লেনদেন কমে যাওয়ার দিনে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত ফুওয়াং ফুডসের। এদিন কোম্পানিটির মোট লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার। এ ছাড়া লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে জেএমআই হসপিটাল। তৃতীয় অবস্থানেও ছিল ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত আরেক কোম্পানি লিগাসি ফুটওয়ার। চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে এদিন যথাক্রমে দেখা গেছে খান ব্রাদার্স ও আলিফ ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিডেটকে।
এদিকে নেতিবাচক লেনদেনের দিনে দাম বাড়ায় শীর্ষ অবস্থানে ছিল ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত মেঘটা পেট্রোলিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এ ছাড়া আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, লিবরা ইনফিউশন, পিপলস ইন্সুরেন্স ও ড্যাফোডিল কম্পিউটারস ছিল লেনদেনে যথাক্রমে দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম অবস্থানে।
এদিন দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) কমেছে সবগুলো সূচক। এ বাজারের প্রধান সূচক (সিএএসপিআই) প্রায় ২৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান নিয়েছে ১৮ হাজার ৬ শ’ ৬৫ পয়েন্টে।
লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে এদিন সিএসইতে দর বেড়েছে ৩১টির, কমেছে ৭৫টির আর অপরিবর্তিত দেখা গেছে ৫০টি কোম্পানিকে।
চট্টগ্রামের বাজারে এদিন মোট লেনদেন কমে হয়েছে প্রায় ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা।