বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দামে নতুন রেকর্ড

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২ আগস্ট, ২০২৩ ২১:৪৪

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ব্যাংকগুলোর মধ্যে লেনদেনে ডলারের বিনিময় হার ছিল ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা এর আগে যা ছিল ১০৯ টাকা। আর কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়।

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির মধ্যে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের বিনিময় হার বেড়ে নতুন রেকর্ড হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ব্যাংকগুলোর মধ্যে লেনদেনে ডলারের বিনিময় হার ছিল ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা এর আগে যা ছিল ১০৯ টাকা। আর কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়।

দুই সপ্তাহের বেশি সময় আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে টাকা-ডলারের বিনিময় হার ১০৯ টাকায় ‘স্থির’ ছিল। কিন্তু বুধবার তা বেড়ে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সায় উঠেছে। গত ১৫ জুন আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে টাকা-ডলারের বিনিময় হার ১০৯ টাকায় উঠেছিল। এরপর জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ১০৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১০৮ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়। মঙ্গলবার পর্যন্ত তা ১০৯ টাকায় ‘স্থির’ ছিল।

রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের নতুন দর বেঁধে দেয়ার পর মঙ্গলবার আন্তঃব্যাংক লেনদেনেও ডলারের সর্বোচ্চ সীমা র্নিধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি। সেসময় আন্তঃব্যাংকে ডলার কেনাবেচার সর্বোচ্চ সীমা ঠিক হয় ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।

এদিকে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটেও ডলারের দর ঊর্ধ্বমূখী। বুধবার এই বাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১১৫ টাকায়।

বিভিন্ন মানি চেঞ্জারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে ডলারের চাহিদা বেশি, সরবরাহ কম। সে কারণেই দাম বাড়ছে। বুধবার এক ডলার কিনতে তাদের ব্যয় হয়েছে ১১৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৫০ পয়সা। বিক্রি করেছেন ১১৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১১৫ টাকা দরে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেয়া হয় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) ওপর। এরপর থেকে এই দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে এ দুই সংগঠন।

সোমবার এবিবি ও বাফেদার বৈঠকে রপ্তানি আয়ে ডলারের দর ১ টাকা বাড়ানো হয়; রেমিট্যান্স বাড়ানো হয় ৫০ পয়সা। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দর ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা আর রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ১০৯ টাকা। আমদানি নিষ্পত্তিতেও ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে।

বুধবার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির দর বাড়িয়ে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে, এবিবি ও বাফেদার সিদ্ধান্ত অনেকক্ষেত্রেই মানেনি ব্যাংকগুলো। অনেক ব্যাংক এ দুই সংগঠনের বেঁধে দেয়া দামের চেয়েও বেশি দামে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করেছে। এজন্য কয়েক দফায় কয়েকটি ব্যাংককে সতর্ক করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা অনেক দিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, আমদানির ক্ষেত্রে বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে ডলারের দামে বেশি রাখছে ব্যাংকগুলো। এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে যে পরিমাণ ডলার চাওয়া হয় তার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পাওয়া যায়। দেড় বছর ধরে এই সংকট চলছে দেশে।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ডলার সংকট যতটা প্রকট ছিল, তা অনেকটা কমে এসেছে। আমদানি ঋণপত্র খোলা কমে গেছে। তাতে ব্যাংকগুলোতে ডলারের মজুদ কিছুটা বেড়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর