একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী ২৯০ সংসদ সদস্যের (এমপি) শপথ ও পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজ করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। এর ফলে ওই এমপিদের শপথ এবং পদে থাকার বিষয়টি বৈধ বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার লিভ টু আপিল খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত ২৯০ এমপির শপথকে অবৈধ দাবি করে এবং তাদের পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম। তার সেই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।
এরপর ওই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন তিনি। তারপর মামলাটি চেম্বার আদালতে এলে তা পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়া হয়। মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত আবেদনটি খারিজ করে দেয়।
আবেদনকারীর আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আমার মক্কেল মনে করেন তিনি ন্যায়বিচার পাননি। এজন্য তিনি রিভিউ (পুনঃবিবেচনার আবেদন) করবেন। আশা করি সেখানে তিনি রায় পাবেন।’
আইনজীবী খোকন বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯০ জন্য সংসদ সদস্য ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি শপথ নেন। কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। নির্বাচিত ব্যক্তিরা ওই বছরের ৯ জানুয়ারি শপথ নেন। একই বছরের ২৯ জানুয়ারি ওই সংসদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদের মেয়াদ গণনা হবে সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে পাঁচ বছর। তাই দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে শপথ নেয়া হয়েছে, যার ফলে ওই সময়ে দেশে ডাবল সংসদ সদস্য হয়ে গেছে, কেননা শপথের পরই দায়িত্ব গ্রহণ কার্যকর হয়ে যায়, যা সংবিধান পরিপন্থী।’