পিরোজপুর-১ ও ২ আসনের পুনর্নির্ধারিত সীমানা নিয়ে প্রকাশিত গেজেট কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। পরবর্তী আদেশের জন্য ৯ আগস্ট দিন ধার্য করেছে আদালত।
সীমানা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের পয়লা জুনের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন পিরোজপুরের কাউখালীর বাসিন্দা আবু সাঈদ মিয়া, ভান্ডারিয়া পৌরসভার বাসিন্দা মো. কায়কোবাদ, মো. আহসানুল কিবরিয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান, নেছারাবাদ উপজেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম শরীফ।
আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম কে রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান খান। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী।
পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল পিরোজপুর-১ আসন।
এ আসনের সীমানা পরিবর্তন করে নেছারাবাদ উপজেলা বাদ দিয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা যোগ করা হয়।
ইন্দুরকানী উপজেলা আগে পিরোজপুর-২ আসনের অংশ ছিল। অপরদিকে নেছারাবাদ উপজেলাকে পিরোজপুর-২ আসনের সঙ্গে যোগ করা হয়।