বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগামী বছর চালু হবে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ: বিএসইসি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৫ জুলাই, ২০২৩ ২০:১৪

বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ জানান, কমোডিটি এক্সচেঞ্জের বাস্তবায়নে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেসব মোকাবিলা করে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করতে বিএসইসি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এটি চালুর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে উন্নয়নের নতুন অধ্যায় সূচনা হবে।

সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই শুরু হবে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়া শেষ করে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ কমোডিটি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে লেনদেন শুরু করতে চায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

নিউজবাংলাকে এমন তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। এ জন্য বিধিমালা তৈরির প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।

অংশীজনদের নিয়ে মঙ্গলবার সকালে আগারগাঁওয়ের বিএসইসি ভবনে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বিধিমালার ওপর কর্মশালার আয়োজন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করতে এ কর্মশালা হয়।

এতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা ছিলেন।

এ ছাড়া বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন, এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা কর্মশালায় তাদের মতামত তুলে ধরেন।

বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই, বিজিএমইএ, ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল, সিসিবিএল, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন, বসুন্ধরা গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপসহ বেসরকারি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা কর্মশালায় বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (কমোডিটি এক্সচেঞ্জ) বিধিমালা, ২০২৩-এর খসড়া বিধিমালা ১২টি অধ্যায়ে সাজানো হয়েছে। এতে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া, কমোডিটি এক্সচেঞ্জের দায়িত্ব, নিয়ন্ত্রণ ও পরিপালন, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিধিমালার খসড়ার ওপর উপস্থাপনা তুলে ধরেন বিএসইসির পরিচালক মো. আবুল কালাম এবং উপপরিচালক মুহাম্মদ ওয়ারিসূল হাসান রিফাত।

এ সময় উপস্থাপিত বিধিমালাটি নিয়ে সব পক্ষ আলোচনায় অংশ নেন। উপস্থিত সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।

সমাপনী বক্তব্যে বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের আমরা একটি নিরাপদ প্লাটফর্ম উপহার দিতে চাই।’

এটি বাস্তবায়নে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেসব মোকাবিলা করে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করতে বিএসইসি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থিক বাজারে ধারণাটি নতুন হওয়ায় এর সম্ভাবনাও অসীম।’ কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে উন্নয়নের নতুন অধ্যায় সূচনা হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএসইসির কমিশনার।

অনুষ্ঠান শেষে নিউজবাংলার সঙ্গে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ নিয়ে কথা বলেন নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম। উদাহরন দিয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি এর মাধ্যমে এক কেজি স্বর্ণ কেনেন, তাহলে দুই পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা হবে। ধরা যাক, এর বাজার দর ৫০ লাখ টাকা। এ জন্য যিনি কিনবেন তাকেও পুরো টাকা দিতে হবে না। আবার যিনি বিক্রি করবেন তাকেও এক কেজি স্বর্ণ এখনি বুঝিয়ে দিতে হবে না। দুপক্ষের মধ্যে শুধু লেনদেনের চুক্তি হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কদিন পরে যদি দেখা যায় স্বর্ণের দাম বেড়ে ৫৫ লাখ টাকা হয়েছে, তখন প্রথম পক্ষ চাইলে তা বিক্রি করে পাঁচ লাখ টাকা লাভ তুলে নিতে পারবে। আবার যদি ওই স্বর্ণই চায় তাহলে দ্বিতীয় পক্ষ তাকে এক কেজি স্বর্ণ বুঝিয়ে দেবে।’

তবে এ বাজারে লেনদেনে শেয়ারবাজারের মতো ম্যাচিউর হওয়ার ঝামেলা থাকবে না। অর্থাৎ কোনো পণ্য একদিনে কিনে সেদিনেই বিক্রি করে দেয়া সম্ভব হবে বলেও জানান রেজাউল করিম।

এ বিভাগের আরো খবর