কোনোভাবেই যেন আস্থা ফিরে আসছে না দেশের দুই পুঁজিবাজারে। একদিনের কিছুটা উত্থানের পরদিনই আবার শুরু হয় পতন। রোববার সপ্তাহের শুরুর দিনেও দাম কমার প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। এ নিয়ে টানা দুই কর্মদিবস সূচক হারাল প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই।
বাজার সংশ্লিষ্টরা অনেকেই বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে পুঁজিবাজারের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা তলানিতে নামবে।
রোববার সকালে লেনদেন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মাথায় সূচক বাড়ে প্রায় সাত পয়েন্ট। পুরো দিনের স্বাত্ত্বনা শুধু এটুকুই। এরপর থেকেই কমতে শুরু করে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। বিক্রির বড় কোন চাপ না থাকলেও দাম হারাতে থাকে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানি।
দিনশেষে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর হারাতে দেখা যায় ১৪২টি কোম্পানিকে বিপরীতে দর বেড়েছে ৪৪টি কোম্পানির। ফ্লোর প্রাইসে এখনও আটকে রয়েছে ডিএসইর বেশিরভাগ কোম্পানি যার ফলে রোববারও ১৫৯টি কোম্পানির দামে কোনো পরিবর্তন ছিল না।
এদিকে সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। ঢাকার বাজারে এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ৭৪৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। যা বৃহস্পতিবার অর্থাৎ তার আগের কর্মদিবস থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা কম। সেদিন ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছিল ৯৪৭ কোটি টাকা।
ডিএসইতে এদিন অন্য দুটি সূচকও কমতে দেখা যায়। ৩০ টি ভালো মানের কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচকটি এদিন প্রায় ২৫ পয়েন্ট দর হারায়। অন্যদিকে ডিএস শরিয়াহ সূচকটিও ৪ পয়েন্টের বেশি কমেছে এদিন।
ঢাকার পাশাপাশি এদিন সূচক ও লেনদেন কমেছে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ-সিএসইতেও। এই বাজারের প্রধান সূচক সিএএসপিআই রোববার কমেছে প্রায় ৪০ পয়েন্ট। এর ফলে সূচকটি এখন অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৭ শ ৩৯ পয়েন্টে। সূচকের পাশাপাশি সিএসইতেও কমেছে লেনদেনর পরিমাণ।
রোববার চট্টগ্রামের বাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার কিছুটা বেশি। যা তার আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ছিল প্রায় ১৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা।