বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রুই-কাতলের দামে মাথায় হাত ক্রেতাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২১ জুলাই, ২০২৩ ২২:১৬

ক্রেতা মোতালেব শিকদার বলেন, ‘মাছের যে দাম, শুনলেই কেনার শখ মিটে যায়। গরিবের পাঙাশই ভরসা।’

রাজধানীর বাজারগুলোতে বাড়ছে মাছের দাম। দেশি প্রজাতির মাছের দাম এখন সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এ ছাড়া বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই বৃষ্টি-বাদলের অজুহাতে বাজারে দফায় দফায় বেড়ে যায় সবজির দাম। এরপর সেই সবজির দাম আর কমেনি। আগের মতই আছে সবজির দাম। এরই মধ্যে বাড়ছে বাজারে মাছের দাম। এতে নাভিশ্বাস উঠছে ক্রেতাদের।

চড়া মাছের বাজারের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে পেঁয়াজ, জিরা, সয়াবিন তেল, আদা, আটার মতো কিছু নিত্যপণ্যের মূল্যে।

শুক্রবার রাজধানী ঢাকার বাড্ডা, গুলশান, রামপুরাসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দামের তারতম্য দেখা গেছে।

উত্তর বাড্ডা মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দেশীয় প্রজাতির মাছসহ সব ধরনের মাছে আকারভেদে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।

বড় আকারের তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি, মাঝারি আকারের তেলাপিয়ার কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। এ ছাড়া আকারভেদে পাঙাশ মাছের কেজি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। টেংরা ৬০০ টাকা, গুতুম ৭০০ টাকা, ডিমওয়ালা নদীর চিংড়ি ১ হাজার ২০০ টাকা, পোয়া মাছ ৫০০ টাকা, সাগরের সুরমা মাছ ২৫০ টাকা, ফলি মাছ ৫০০ টাকা, বড় বেলে মাছ ৮০০ টাকা, রুই ও কাতলা মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে জাতীয় মাছ ইলিশ। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট ইলিশ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাছ বিক্রেতা শহীদুল বলেন, ‘মাছের আড়তে দেশি প্রজাতির মাছের দেখাই মেলে না। যেটুকু আসে তাতে দাম অনেক বেশি। চড়া দামে কিনে বাজারে তো হেই দামে বিক্রি করতে পারি না। ভোরে যে বাজেট নিয়ে মাছ কিনতে যাই, তাতে মনের মতো মাছই কিনতে পারি না। সব মাছেরই দাম বাড়ছে। বেশি দামে কিনে তো বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে। লাভ না হলো খাব কী।’

ক্রেতা মোতালেব শিকদার বলেন, ‘মাছের যে দাম, শুনলেই কেনার শখ মিটে যায়। গরিবের পাঙাশই ভরসা।’

মসলাজাতীয় পণ্য

এদিকে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদার দাম অনেকটা কমে ২০০ টাকা কেজি, রসুন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, জিরা মানভেদে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে।

সয়াবিন তেলের দাম কমানোর ঘোষণায় কিছুটা প্রভাব পড়েছে তেলে ওপরে। লিটারে ১০ টাকা কমিয়েছে সরকার। এতে করে খুচরা পর্যায়ে তেলের দাম কমে আসছে।

এ বিভাগের আরো খবর