বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অবণ্টিত লভ্যাংশ যারা ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ডে (সিএমএসএফ) জমা দেয়নি তাদের অডিট রিপোর্টের পরই জরিমানা করা শুরু হবে। বিনিয়োগকারীদের সম্পদ অন্যের কাছে থাকতে দেয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) আয়োজিত ‘সিএমএসএফের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কাঠামো’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএমএসএফ চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাবলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) থেকে শেয়ারবাজারে ২২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। প্রথম বছর এ ফান্ড থেকে মুনাফা এসেছে ১১ কোটি টাকা। এ বছর আরও বেশি আসবে বলে আশা করছি। যারা এখানে বিনিয়োগে আসবে তারা ২ কোটি টাকা দিলে আমরাও ২ কোটি টাকা দেব। অনেকে বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য দিচ্ছে না।’
বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘আমরা সব দিক থেকে দেওয়াল দিয়ে একটি স্থিতিশীল বাজার তৈরির চেষ্টা করছি। পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডগুলোর লেনদেন শুরু হলে লেনদেন হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে আরও অনেক বেশি হবে বলে আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে পাওয়া নিয়ে কাজ করছি। আশা করি, তাড়াতাড়ি আমাদের চেষ্টার সফলতা পাব। কারণ, আমাদের কাজের ক্ষেত্রে কোন কাজটা আগে করব, সেটা আপনাদের অর্থাৎ বাজার সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকেই পরামর্শ নেব।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘তফসিলি ব্যাংক এবং বাণিজ্যিক ব্যাংককে দীর্ঘমেয়াদি দায় থেকে মুক্তি দিয়ে পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন।’
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের পুঁজিবাজার যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটা আরও ভালো করতে পারত। আমাদের বিনিয়োগকারীরা না বুঝে বিনিয়োগ করেন। অনেকে আবার এটাকে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে ধরে নেন। এটা কখনও কাম্য নয়। বড় ব্যবসায় অগ্রসর হলে এ বাজার থেকে ফান্ড নেয়া ছাড়া কঠিন হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।