বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ড্রাফট সংকট, টেকনাফ স্থলবন্দরে পচছে মালামাল

  • রহমত উল্লাহ, টেকনাফ (কক্সবাজার)   
  • ২২ জুন, ২০২৩ ১৯:৩৩

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ডলার সংকট দেখিয়ে মে মাসের শেষের দিক থেকে সোনালী ব্যাংক এবং এবি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আদা-রসুন ছাড়া অন্যান্য মালামাল ডেলিভারিতে ড্রাফট দিচ্ছে না। ফলে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা কাঠ, সুপারি, আচার, নারিকেল, শুঁটকিসহ বিভিন্ন মালামাল পড়ে থেকে পচছে। এতে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে।

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে ড্রাফট সংকটে গুদামে পড়ে আছে বিভিন্ন ধরনের মালামাল। একই কারণে রপ্তানির অপেক্ষায় স্থলবন্দরের ওয়্যার হাউজে পড়ে আছে শত কোটি টাকার পণ্য। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন। পাশাপাশি সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের কোনো নির্দেশনা না থাকলেও ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা ফরেন ডিমান্ড ড্রাফট (এফডিডি) সংকট দেখিয়ে স্থলবন্দরে অচলাবস্থা তৈরির চেষ্টা করছেন।

সংকট নিরসনে বৃহসম্পতিবার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নাফ গেস্ট হাউজে টেকনাফ স্থলবন্দর ব্যবস্থাপনা ও আমদানি সহযোগিতাকরণ সভা হয়েছে।

টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি আব্দুর রহমান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম।

সভায় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, মে মাসের শেষের দিক থেকে সোনালী ব্যাংক এবং এবি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সরকারের কোনো নির্দেশনা ছাড়াই ডলার সংকট দেখিয়ে আদা-রসুন ব্যতীত অন্যান্য মালামাল ডেলিভারিতে ড্রাফট দিচ্ছে না। এর ফলে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা কাঠ, সুপারি, আচার, নারিকেল, শুঁটকিসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল পড়ে আছে। এ অবস্থায় অনেক পণ্যে পচন ধরেছে। আর ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরে রোহিঙ্গা শ্রমিক ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নেও জোর দাবি জানান তারা।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান, স্থলবন্দরের জিএম (অ্যাডমিন অ্যান্ড সিকিউরিটি) মেজর (অব.) সৈয়দ আনছার মো. কাউছার, কক্সবাজার সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার ডিজিএম মো. আসাদ, ভূমি কমিশনার এরফানুল হক চৌধুরী, টেকনাফ মডেল থানার ওসি আব্দুল হালিম, এবি ব্যংক টেকনাফ শাখার ম্যানেজার মনজুরুল আলম চৌধুরী, স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের জিএম জসীম উদ্দিন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুরসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে স্থলবন্দর ঘুরে দেখেন জেলা প্রশাসক শাহীন মুহাম্মদ ইমরান। এ সময় তিনি বলেন, ‘ড্রাফট সংকটে স্থলবন্দরে মালামাল জটসহ সব ধরনের সমস্যা নিরসনে আমরা বৈঠকে বসেছি। দ্রুতই সমস্যা সমাধানের পথ বেরিয়ে আস হবে। পাশাপাশি আমরা কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আদা, রসুন, পিঁয়াজ আমদানি করতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করছি।’

সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা না থাকার পরও জামায়াত বিএনপির কিছু ব্যাংক কর্মকর্তা ডলারের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছেন। বিশেষ করে ব্যাংক থেকে ড্রাফট না পাওয়ায় স্থলবন্দরে কাঠ, সুপারি, শুঁটকিসহ বিভিন্ন ধরনের শত কোটি টাকার পণ্য স্থলবন্দরে পড়ে আছে।

এ অবস্থায় সুপারিসহ পচনশীল অধিকাংশ মালমাল নষ্ট হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে এবং সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব।’

এ বিভাগের আরো খবর