ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল সোর্সিং প্রদর্শনী ‘ইনটেক্স বাংলাদেশ’-এর ১১তম আসর।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আসিসিবি) ২ ও ৪ নম্বর হলে তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী শুরু হবে। শেষ হবে শনিবার।
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রিমিয়ার আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল সোর্সিং প্রদর্শনী হিসেবে ইনটেক্স বাংলাদেশের সুনাম রয়েছে।
ইনটেক্স বাংলাদেশ প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের পোশাক খাতসংশ্লিষ্টদের একত্রিত করে আসছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানীকারক বাংলাদেশ।
আগের ১০টি আয়োজনে ৩৫টিরও বেশি দেশের ৪০ হাজারের অধিক সংখ্যক তৈরি পোশাক খাতের ক্রেতা এবং ১ হাজার ৫০০ এর বেশি বস্ত্র সরবরাহকারী অংশ নেন।
ইনটেক্স বাংলাদেশের আয়োজক প্রতিষ্ঠান ওয়ার্লডেক্স ইন্ডিয়ার নির্বাহী পরিচালক আরতি ভগত বলেন, ‘পোশাক শিল্পের আন্তর্জাতিক সোর্সিংয়ের ব্যবধান পূরণে বৃহৎ-ক্ষুদ্র, ছোট-মাঝারি শিল্পের (এমএসএমই) অংশীদারদের একটি প্লাটর্ফম হিসেবে ইনটেক্স বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সংশ্লিষ্ট খাতের গোটা বিশ্বের মানসম্পন্ন সরবরাহকারীর উপস্থিতি বাংলাদেশি শিল্পকে আরও বেশি মূল্য সংযোজন উৎপাদনের দিকে অগ্রসর হতে এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্যকে জোরদার করবে, যাতে সামগ্রিকভাবে দেশীয় পোশাক শিল্পের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি পায়।’
এবারের প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী প্রধান অতিথি থাকবেন।
সম্মানীত অতিথি করা হয়েছে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে।
প্রদর্শনীতে কৌশলগত অংশীদার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এবং বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ) অংশগ্রহণ করবে।
এ ছাড়া ইনটেক্স বাংলাদেশের ইন্ডিয়া প্যাভিলিয়ন সংগঠক হিসেবে কটন টেক্সটাইল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল (টেক্সপ্রোসিল) এবং পাওয়ারলুম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল (পিডিএক্সসিল) অংশ নেবে।
ইনটেক্স বাংলাদেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা, রাশিয়া, বেলারুশ, চীন, হংকং, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, যুক্তরাজ্য এবং অন্য দেশের পোশাক শিল্প খাতের সরবরাহকারীদের কেন্দ্রিভূত করেছে। তাদের পণ্য, পরিষেবা এবং বিভিন্ন সমাধান বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের (আরএমজি) উন্নয়নে সহায়তা করবে।
টেকসই ও প্রতিযোতিামূলক ব্যবসার পুনঃনির্মাণ, পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের ওপর দেশীয় খাতসংশ্লিষ্টদের লক্ষ্য জোরদার করতে সহায়তা করবে।
এ আয়োজনে প্রদর্শক এবং ক্রেতাদের ইন্টারেক্টিভ বিজনেস ফোরাম (আইবিএফ) ও একাধিক সেমিনারে অংশ নেয়ার সুযোগ থাকবে।
এসবে কিউরেটেড সেশন এবং প্যানেল আলোচনা হবে।
এতে তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নতি এবং মানসম্পন্ন বাজার বুদ্ধিমত্তায় উৎপাদনকারীরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার কৌশলগত ধারণা পাবেন।
আয়োজন সম্পর্কে নির্ধারিত লিংকে বিস্তারিত জানা যাবে।