বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাজেটে পুঁজিবাজার উপেক্ষিতের পক্ষে নন পরিকল্পনামন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৪ জুন, ২০২৩ ১৬:০৬

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘স্টক মার্কেট বাজেটে অবহেলিত এটি একটি বড় মেসেজ, আপনাদের পক্ষ থেকে আমি সংশ্লিষ্টদের কাছে এটি পৌঁছে দেব।’

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমাদের মতো বিকাশমান অর্থনীতিতে মূলধনের জোগান দিতে পারে শক্তিশালী পুঁজিবাজার। তাই বাজেটে ক্যাপিটাল মার্কেট অবহেলিত হওয়া ঠিক নয়।

রোববার ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) যৌথ উদ্যোগে সিএমজেএফ অডিটরিয়ামে বাজেট পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ওই মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ‘টিনেজারের’ সঙ্গে তুলনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি অত্যন্ত শক্তিশালী, এতে কোনো সন্দেহ নেই, আমাদের অর্থনীতি টিনেজার অর্থনীতি। টিনেজার হওয়ায় এর একটা উদ্যম রয়েছে, কিছুটা লাফালাফিও রয়েছে। তাই এটিকে নজরদারি করতে হচ্ছে। এটাকে ফিডিং করতে হচ্ছে। আর এই ফিডের প্রধান উপকরণই হচ্ছে ক্যাপিটাল।’

সিএমজেএফের সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় ‘বাজেট ২০২৩-২৪: প্রেক্ষিত পুঁজিবাজার’ শীর্ষক সভায় সূচনা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান।

সিএমজেএফের সভাপতি জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, ডিবিএ প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও।

গত ১ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করা হয়।

প্রস্তাবিত বাজেটে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হারের পার্থক্য বাড়ানোর দাবি করেন বিএমবিএ সভাপতি ছায়েদুর রহমান।

এ ছাড়া তিনি লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত কর প্রত্যাহার, বন্ডের ওপর অগ্রীম চূড়ান্ত কর হিসেবে বিবেচনা করা, লেনদেন কর নামিয়ে শূন্য দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশ করার দাবিও জানান তিনি।

ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘পুঁজিবাজারের জন্য বাজেটের ভালো দিক হলো নতুন করে কোনো কিছু আরোপ করা হয়নি। তবে হতাশার ও খারাপ দিক হলো পুঁজিবাজারের জন্য কোনো প্রণোদনাই নেই, এমনকি পুঁজিবাজার সম্পর্কে কোনো আলোচনাও নেই।’

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএইসই) চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু বলেন, ‘সরকারের একটু নীতি সহায়তা পেলে আমাদের পুঁজিবাজার অনেক কিছুই দিতে পারবে। এখানে সেই সম্ভাবনা রয়েছে। রাজস্ব আহরণ পুঁজিবাজার থেকেই বড় জোগান দিতে পারবে।’

চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম বাজেটে পুঁজিবাজার বিষয়ে কিছু থাকবে। কিন্তু এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য কিছুই রাখা হয়নি। অথচ ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের জন্য নয়, দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের জন্য পুঁজিবাজারের বিকল্প নেই।’

ডিবিএ প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি এতোদিন গরিব দেশ হিসেবে কিছু সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে। যখন আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হব, তখন আমরা অনেক সুযোগ হারাব। এ জন্য দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে হলে আমাদের ছোট ছোট কোম্পানিগুলোর দিকে নজর দিতে হবে এবং তাদের পুঁজি সংগ্রহের সুযোগ দিতে হবে।’

জিয়াউর রহমান বলেন, ‘বাজেটে যখন পুঁজিবাজারের উপস্থিতি থাকে না, তখন বিনিয়োগকারীদের কাছে একটি বার্তা যায়, সরকার পুঁজিবাজার নিয়ে ভাবছে না। আমরা আশা করব, প্রস্তাবিত বাজেট আলোচনায় এটি স্থান পাবে।’

এসব বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘স্টক মার্কেট বাজেটে অবহেলিত এটি একটি বড় মেসেজ, আপনাদের পক্ষ থেকে আমি সংশ্লিষ্টদের কাছে এটি পৌঁছে দেব। এ ছাড়া আমি আপনাদের দাবিগুলো শুনলাম, এগুলো নিয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করব।’

এ বিভাগের আরো খবর