বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিল তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক ব্র্যান্ড গ্রামীণ ইউনিক্লো। এরই মধ্যে ব্র্যান্ডটি তার সব বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে।
গ্রামীণ ইউনিক্লো-এর ফেসবুক পেজে পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর বেইলিরোড ও মিরপুর-১২ এলাকাতে গিয়েও তাদের কোনো শো-রুম খোলা পাওয়া যায়নি।
যোগাযোগের জন্য গ্রামীণ ইউনিক্লো-এর ফেসবুক পেজে দেয়া ফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।
অবশ্য এর আগে ১৮ জুনের মধ্যে গ্রামীণ ইউনিক্লো তাদের ১০টি বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ করার পাশাপাশি ব্যবসা কার্যক্রমও বন্ধের কথা জানিয়েছিল। তবে পরে আরেক পোস্টে বলা হয়, ৩০ মে-এর মধ্যেই বন্ধ হচ্ছে সব দোকান।
ইউনিক্লো সোশ্যাল বিজনেস বাংলাদেশ লিমিটেড বৃহস্পতিবার গ্রামীণ ইউনিক্লোর ওয়েবসাইটে ৩০ মে বিবৃতি দিয়ে বলেছে, আমরা ১৮ জুনের মধ্যে কার্যক্রম শেষ করতে চেয়েছিলাম, তবে আমাদের সব পণ্য বিক্রি হয়ে যাওয়ায় ৩০ মে-এর মধ্যেই সব কার্যক্রম বন্ধ করছি।
গ্রামীণ ইউনিক্লোর ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, গ্রামীণ ইউনিক্লোর ১০টি স্টোর (বিক্রয়কেন্দ্র) ১৮ জুন, ২০২৩ সালের মধ্যে আমরা বন্ধ করব এবং এর সঙ্গে সঙ্গে গ্রামীণ ইউনিক্লোর ব্যবসার কার্যক্রমও বন্ধ হবে।
গত ১১ মে দেয়া বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছিল, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সে সঙ্গে ব্যবসায়িক পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মনে করছি, আমাদের ব্যবসার একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জন করতে সফল হয়েছি। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের ব্যবসার কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
জাপানি খুচরা বিক্রেতা কোম্পানিটি গ্রামীণ ব্যাংক গ্রুপের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ২০১০ সালে ইউনিক্লো সোশ্যাল বিজনেস বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করে। তারপর ২০১৩ সালে গ্রামীণ ইউনিক্লো প্রাথমিকভাবে রাজধানী ঢাকায় একটি বিক্রয়কেন্দ্র চালু করে। পর্যায়ক্রমে বিক্রয়কেন্দ্র বাড়ানো হয়।
গ্রামীণ ইউনিক্লোর বাংলাদেশে ব্যবসা গোটানোর প্রক্রিয়াটি চলতি বছরের শুরুর দিকে দৃশ্যমান হয়। প্রতিষ্ঠানটিগত ফেব্রুয়ারিতে নয়াপল্টন, সাভার সিটি সেন্টার, খিলগাঁও তালতলা ও নিউ এলিফ্যান্ট রোডে থাকা বিক্রয়কেন্দ্র এক সঙ্গে বন্ধ করে দেয়।
পরে বন্ধ হয় যমুনা ফিউচার পার্ক, গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড, নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সড়ক, সায়েন্স ল্যাব, নরসিংদী, পুরান ঢাকার ওয়ারী, মোহাম্মদপুর রিং রোড, মেট্রো শপিং মল, যাত্রাবাড়ী এবং মিরপুর-১২ এলাকার বিক্রয়কেন্দ্র।