তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ নিয়ে কাতারের সঙ্গে দ্রুত নতুন করে চুক্তি করতে চায় বাংলাদেশ।
দোহায় মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার আবাসস্থল র্যাফেলস টাওয়ারে সাক্ষাৎ করতে এলে কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা কাবিকে বাংলাদেশের এ অবস্থানের বিষয়টি জানানো হয়।
বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাতের সময় ভবিষ্যতে বাংলাদেশে অতিরিক্ত এলএনজি সরবরাহের বিষয়ে নতুন চুক্তি সইয়ের বিষয়টি আলোচনায় আসে।
কাতারের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের জানান, শেখ হাসিনা কাতার থেকে বৃহত্তর পরিমাণে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছেন।
তিনি জানান, কাতার থেকে এলএনজি আমদানির জন্য ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত বিদ্যমান ১৫ বছরের চুক্তিটি ২০৩২ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, তবে ২০২৫ সালের পরে বৃহত্তর পরিমাণে জ্বালানি পেতে নতুন করে চুক্তিতে সই করতে হবে।
আবদুল মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী দরদাম সংক্রান্ত সমস্যা ঠিকঠাক করে অবিলম্বে চুক্তিতে সই করতে বলেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বর্ণনা করে কাতার বলেছে, বাংলাদেশ দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। চুক্তি সইয়ের সময় কাতারের পক্ষে যত দূর সম্ভব সব ধরনের ছাড় দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক
কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে র্যাফেলস টাওয়ারে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল সানি।
ওই বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, কাতার বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, বৈঠকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চান তারা।
আবদুল মোমেন জানান, বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আনার জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ কাতার থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি কিনে। আমরা চাই আপনি জ্বালানি দিয়ে আমাদের সহায়তা করুন।’
জবাবে মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান জানান, তারা বাংলাদেশের জন্য যতটা সম্ভব করবেন।
২০২৩ সালের ফিফা বিশ্বকাপের পর কাতারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা সম্পর্কে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি কর্মীরা তাদের সম্পদ ও বন্ধু। কাতার যতটা সম্ভব দেশটিতে রাখবে তাদের।