দেশে চিনির চাহিদার প্রায় ৯৯ শতাংশ আমদানি করতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশেও চিনির দাম বেড়েছে।
হঠাৎ চিনির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি একথা বলেছেন।
রাজধানীর বাড্ডায় সিরাজ মিয়া মেমোরিয়াল স্কুল মাঠে রোববার ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে মে মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর এপ্রিল মাস থেকে শুল্ক ছাড় অব্যাহত না রাখায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৃদ্ধির পরও দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়েনি।
‘সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি- এসব পণ্য আমদানিনির্ভর। বেশ কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েছে। আমদানি পণ্য দেশের বাজারে বিক্রির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে দামের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়।
‘আমরা চেষ্টা করি আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে পণ্যমূল্যের সামঞ্জস্য রাখার। তারপরও অনেক অসৎ ব্যবসায়ী বেশি দামে বিক্রির চেষ্টা করে থাকে। আমরা এজন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের দিয়ে বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।’
তিনি বলেন, ‘ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক ছাড় অব্যাহত রাখতে এনবিআরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। চিনির ওপর শুল্ক ছাড়ের চলতি মেয়াদ ৩১ মে শেষ হবে। চিনির শুল্ক ছাড় অব্যাহত রাখতেও চিঠি দেয়া হবে। শুল্ক ছাড় অব্যাহত থাকলে বাজারে তেল ও চিনির দাম কমতে পারে।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত করেছেন। এর সুফল দেশের মানুষ উপভোগ করছে। আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে টিসিবির এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এজন্য সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
‘ত্রুটিমুক্ত স্মাট কার্ড উপহার দেয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। এজন্য একটু সময় বেশি লাগছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কাজের অনেকটাই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।