সরকার নির্ধারিত মূল্যের তোয়াক্কা না করে কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেশি দামে ১৪০ টাকা দরে খোলা চিনি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এর সঙ্গে রাজধানীর বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে প্যাকেটজাত চিনি।
নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকার পাইকারি বাজার ঘুরে প্যাকেটজাত চিনি খুব একটা চোখে পড়েনি শুক্রবার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্যাকেটজাত চিনি সরবরাহ ঠিক থাকলে চিনির বাজরের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকত।
শুধু চিনি নয়, সবজি থেকে শুরু করে মুরগি, মাছ, মসলা, পেঁয়াজ, তেল- সবকিছুর ঝাঁজ যেন ক্রেতাসাধারণের নাগালের বাইরে। তবে তুলনামূলক স্বস্তি আছে শাকে। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ টাকার মধ্যে সব ধরনের শাক পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া চালের বাজার কিছুটা অপরিবর্তিত থাকলেও মসলার বাজারে আগুন ছড়িয়েছে যেন।
বুধবার খোলা চিনি প্রতি কেজির দাম বেড়ে হয় ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজির দাম বেড়ে হয় ১২৫ টাকা। তবে বাজারে গিয়ে পাওয়া যায় ভিন্ন পরিস্থিতি।তেজগাঁওয়ের মরন আলী রোডে শাহরাস্তি জেনারেল স্টোরে গিয়ে প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যায়নি। খোলা চিনি থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে।
একই অবস্থা কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকানগুলোতে। সেখানে গিয়েও প্যাকেটজাত চিনি চোখে পড়ল না। পাশাপাশি খুচরা চিনি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা বেশি দামে।
খুচরা বাজরে প্রায় সব সবজির দাম কেজিপ্রতি ৮০ টাকা। শুধু টমেটো ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ও চিচিঙ্গা ৭০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে পেঁপে ৮০ টাকা। বেগুনও ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে কারওয়ান বাজারে এসব সবজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি, লালশাক ১৫ টাকা, লাউশাক ও পুঁইশাক ৩০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহে যে মাছ ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে, সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০০ টাকা। রাজধানীর খুচরা বাজারে শোল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি। শিং ৬০০, বেলে ৬০০, চিংড়ি ৭৬০, ইলিশ ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের কেজি ১ হাজার ২০০ টাকা।
মাছ বিক্রেতা বিপদ চন্দ দাস বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় মাছের বাজারে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। শিং, বেলে এখন ৬০০ টাকা। সব জিনিসের দাম বেশি। মানুষ দাম শুইনা চইলা যায়।’
এ ছাড়া খাসির মাংস ৯৫০ টাকা। গরুর মাংস ৮০০ টাকা কেজি, ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু ৩৫ টাকা, পেঁয়াজ ৭০ টাকা, রসুন ১৬০ টাকা ও আদা ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ানবাজারের আল্লাহর দান জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক বলেন, ‘সব মালের দাম বাড়তি। চালের দাম আগের রেটে আছে। বাড়ছে তেল, চিনি, জিরা, মসলার দাম। আগে বেচতাম ৫ লিটার তেল ৮৮০, এখন ৯৪০ টাকা। চিনি গত সপ্তাহে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, এ সপ্তাহে ৩৫ টাকা। প্যাকেট চিনি পাচ্ছি না। মসুর ডাল ১৩৫ টাকা। মিনিকেট চাল ৭৬, নাজিরশাইল ৭৫ টাকা। পোলাওয়ের চাল ১৪০ টাকা।’