প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে ডলারের দাম ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৮ টাকা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর রপ্তানি বিল পরিশোধে ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৬ টাকা করা হয়েছে।
রোববার বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আফজাল করিম বলেন, রেমিট্যান্সে প্রতি ডলার ১০৮ টাকা এবং রপ্তানি বিল নগদায়নে ডলারে ১০৬ টাকা করে দেয়া হবে। এই নির্দেশনা ২ মে থেকে সব ব্যাংকে কার্যকর করা হবে।
গত অক্টোবর পর্যন্ত রেমিট্যান্সে প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত ছিল। গত ১ নভেম্বর ৫০ পয়সা কমিয়ে রেমিট্যান্সে ডলারের দর করা হয় ১০৭ টাকা। ফলে পাঁচ মাস ধরে এই হারেই রেমিট্যান্স সংগ্রহ করা হচ্ছিল। রোববার এবিবি-বাফেদার সিদ্ধান্তে আরও ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৮ টাকা করা হলো।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এবিবি-বাফেদা সভা করে রেমিট্যান্সের দর নির্ধারণ করে দেয়। সে সময় রপ্তানি বিল নগদায়নের দরও ঠিক করে দেয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে এক মাসের মাথায় রোববার আবার রপ্তানি বিল নগদায়ন ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৬ টাকা করা হয়েছে। এবিবি-বাফেদা প্রতি মাসেই রপ্তানি বিল নগদায়নের দর নির্ধারণ করে।
গত দুই বছর ধরে দেশে ডলারের দরে অস্থিরতা চলছে। বাজার স্থিতিশীল করতে বাফেদা ও এবিবি সব ব্যাংকের জন্য ডলারের একক দর নির্ধারণ করে দেয়। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক যে দরে ডলার বিক্রি করছে সেটা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সেলিং রেট হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে যে দরে ডলার বিক্রি করতো সেটাকেই বলা হত ডলার রেট। তবে ডলারের এই দর বর্তমানে নির্ধারণ করছে এবিবি-বাফেদা।