বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাছ-মাংসের দাম ঈদের আগের মতোই

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৮ এপ্রিল, ২০২৩ ২০:২০

ঈদের আগে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে, টমেটো ৪০ টাকা, ঢ়েঁড়স ৪০ টাকা, ফুলকপি আকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ছোট দেশি করলা ৬০ টাকা কেজি, লেবুর হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রমজান মাসের শেষের দিকে মাছ-মাংসের দাম যেমন ছিল, রাজধানীর বাজারগুলোতে এসব খাদ্য পণ্যের দাম এখনও প্রায় তেমনই আছে। তবে কিছুটা স্বস্তি মিলছে সবজি কিনতে গিয়ে।

ঈদের ছুটি শেষ হলেও নগরী অনেকটাই ফাঁকা। কেউ কেউ বাজারে যাচ্ছেন, তবে দোকানিদের ছুটি এখনও শেষ হয়নি। পুরোপুরি ব্যবসা শুরু করেননি অনেক বাজারের দোকানদার। শুক্রবার বেশ কিছু বাজার ঘিরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বাড্ডা, রামপুরা ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংসের দাম ঈদের পর বরং বেড়ে গেছে। এক কেজি গরুর মাংস কিনতে ক্রেতাকে এখন গুনতে হচ্ছে ৮০০ টাকা, যা ঈদের আগের সপ্তাহেও ছিল ৭৫০ টাকা। এই মাংসের দাম এক লাফে ৫০ টাকা বেড়ে গেছে।

মাংস বিক্রেতারা বলছেন, গরুর মাংসের এই দাম কোরবানির ঈদের আগে আর কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

বাড্ডা বাজারের সততা হালাল গোস্ত বিতানের ব্যবসায়ী জসীম বলেন, ‘আমাদের বেশি দাম দিয়ে গরু কিনতে হচ্ছে। তাই মাংসের দামও কেজিতে বেড়েছে। দাম বাড়লে আমাদের বিক্রি কম হয়। আমরা তো ইচ্ছা কইরা দাম বাড়াই না। এই দাম কোরবানির আগে আর কমবে বলে আমার মনে হয় না।’

একই বাজারে দেখা যায়, ২০ থেকে ২৫টা মাছের দোকানের মধ্যে মাত্র দুইটা দোকান খোলা। বাকিগুলোয় কেউ এখনো বসেননি। অন্য বাজারে বিক্রেতারা বসলেও ক্রেতা তেমন একটা নেই।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদের আগে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে, টমেটো ৪০ টাকা, ঢ়েঁড়স ৪০ টাকা, ফুলকপি আকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ছোট দেশি করলা ৬০ টাকা কেজি, লেবুর হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতা মাসুম রহমান বলেন, ‘ঈদের আগে আমরা যেসব সবজি বিক্রি করেছি, এখন সেগুলোর ক্রেতা কম হওয়ায় আর পচনশীল হওয়ায় দাম কমে গেছে। এই দাম আরও কিছুদিন কমের মধ্যেই থাকবে।’

ঈদের আগে থেকেই যে মাছের দাম চড়েছিল, সেই দাম এখনো স্থিতিশীল আছে। কয়েকজন ব্যবসায়ী বললেন, ঈদের পর মুরগির পাশাপাশি মাছের চাহিদা বেশি ছিল। তাই মাছের দাম আর কমেনি। তা ছাড়া চাহিদা অনুযায়ী মাছের সরবরাহও কম।

বাজারে দেখা গেছে, রুই মাছ প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, পাঙাশ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা মাছ ৩৪০ টাকা, শিং মাছ ৪৬০ টাকা, কাতলা প্রতি কেজি ৩২০ টাকা, চিংড়ি আকারভেদে প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ে কয়েক দিন হট্টগোল চলছিল। তারপর বাজারে অভিযান চালানোর পর দাম কিছুটা কমিয়ে আনা হয়। তখন কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে এ দাম ঈদের পর আবার এখন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি ৩৪০ টাকা আর ‘কক’ মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে।

রামপুরা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী তৌফিকুর রহমান বলেন, ‘ঈদে ব্রয়লারের চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়ছিল। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ ছিল না। আর এমনিতেও আমাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এখন আমাদের কেনাই পড়তেছে ২৩২ টাকা কেজি। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আমরা ২৪০ টাকা বিক্রি করব।’

এ বিভাগের আরো খবর