বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের আমের অনেক চাহিদা রয়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে আম রপ্তানির নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৪৭ কোটি টাকার রফতানিযোগ্য আম উৎপাদনে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এর ফলে অচিরেই বিশ্ববাজারে আম রপ্তানির পথ সুগম হবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রফতানিযোগ্য আমের উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানির বিষয়ে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেশে আমের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। এই ফলের রপ্তানির সম্ভাবনাও অনেক। তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে আম নিরাপদ ও রোগজীবাণুমুক্ত- এ নিশ্চয়তা দিতে হবে।
‘আমরা এখনও পুরোপুরি সেই নিশ্চয়তা দিতে পারিনি। তবে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। উত্তম কৃষি চর্চা মেনে আম উৎপাদন, ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট স্থাপন, আধুনিক প্যাকিং হাউজ নির্মাণ এবং কৃষক, ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকদের প্রশিক্ষণসহ নানা উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ চলছে।’
রপ্তানি বৃদ্ধি করতে পারলে আম চাষিরা ভাল দাম পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন কৃষিমন্ত্রী। বলেন, ‘এতে পোস্ট হার্ভেস্ট লস কমবে। একইসঙ্গে স্থানীয় বাজারে আরও নিরাপদ ও রোগজীবাণুমুক্ত আম পাওয়া যাবে।’
সভায় জানান হয়, বিশ্বের আম উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম। দেশে বছরে আমের উৎপাদন প্রায় ২৪ লাখ টন। আম পরিবহন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ এবং উৎপাদন পর্যায়ে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার না করায় উৎপাদিত আমের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশই নষ্ট হয়ে যায়। ২০২১ সালে বিশ্বে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার মূল্যের আম রপ্তানি বাণিজ্য হয়।