বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাজেট এমন হবে, যেন ঋণ না লাগে: অর্থমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৩ এপ্রিল, ২০২৩ ১৬:৩৯

অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামীতে এমনভাবে বাজেট প্রণয়ন করবো যাতে কোনো ধরনের ঋণ নেয়া না লাগে। বাজেট হবে এমন যেন ঋণের প্রয়োজন না হয়, আগামীতে আর ঋণ নেব না।

আগামীতে এমনভাবে বাজেট প্রণয়ন করা হবে যেন কোনো ধরনের ঋণ নেয়া না লাগে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৩তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এ সভার আয়োজন করে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামীতে এমনভাবে বাজেট প্রণয়ন করবো যাতে কোনো ধরনের ঋণ নেয়া না লাগে। বাজেট হবে এমন যেন ঋণের প্রয়োজন না হয়, আগামীতে আর ঋণ নেব না।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালনা পর্ষদ, বিভিন্ন সেক্টরের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা ধীরে ধীরে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। যেখানে সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে। ২০৪১ সালের স্বপ্নের সিঁড়িতে আছি। আসন্ন বাজেট হবে জনবান্ধন, এ বাজেটটি হবে জনগণের সুবিধার্থে।

তিনিবলেন, সারাবিশ্ব একটা খারাপ অবস্থার মধ্যে, তারমধ্যেও আমরা আশা প্রত্যাশা ধরে রেখেছি। এই বছর সারাবিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ২.৯ শতাংশ। এর আগের বছর ছিল ৩.৪ শতাংশ ছিল।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, এলডিসি গ্র‍্যাজুয়েশনের পর পা পিছলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ব্যবসায়ী গোষ্ঠী আপনারা আমাকে সাপোর্ট করতে হবে। অনেক বেশি রাজস্ব আয় করতে হবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এলডিসি গ্র‍্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে ইন্ডাস্ট্রিকে আরও বেশি সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। আমদানি নির্ভর কাঁচামাল দিয়ে নিম্নমানের পণ্য তৈরি করে ভ্যালু এডেশন করতে পারব না। এজন্য আমাদের উচ্চমানের পণ্য তৈরি করতে হবে।

অনুষ্ঠানে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছে এফবিসিসিআই। একই সঙ্গে নারী ও সিনিয়র নাগরিকদের জন্য সাড়ে ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করে।

ব্যবসায়ী এ সংগঠনটি প্রস্তাবে পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে আমদানি করা উপকরণের ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ আগাম কর ধাপে ধাপে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। আগাম করের ফলে শিল্প উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায় বলেও জানায় এফবিসিসিআই।

এ বিভাগের আরো খবর