বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির প্রধান চালক এশিয়া’

  •    
  • ১ এপ্রিল, ২০২৩ ২০:৩৯

চীনের হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠিত চার দিনব্যাপী বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া-২০২৩ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পারস্পরিক সহযোগিতা ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। এই চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। আগামী দিনে এশিয়া বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে ৭৫ শতাংশ অবদান রাখবে।

বৈশ্বিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পারস্পরিক সহযোগিতা ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। এই চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। উদীয়মান ও উন্নয়নশীল এশিয়া বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির প্রধান চালক। আগামী দিনে এশিয়া বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে ৭৫ শতাংশ অবদান রাখবে।

চীনের হাইনান প্রদেশে ২৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া ২০২৩-এ বক্তারা এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ছিয়ংহাই সিটির বোয়াও টাউনে অনুষ্ঠিত চার দিনব্যাপী এই বর্ণাঢ্য সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা ও নতুন পদক্ষেপের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে বৈশ্বিক সমৃদ্ধিতে চীনের ভূমিকা তুলে ধরা হয়।

এতে ৫০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের দুই সহস্রাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন। এছাড়া ১৭০টিরও বেশি গণমাধ্যমের ১১০০ জনেরও বেশি সাংবাদিক অনুষ্ঠানটি কাভার করেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিদেশি অতিথিরা বলেন, ‘বিশ্বের অনির্দিষ্টতা বেড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশের উচিত ঐক্যবদ্ধ হয়ে এশিয়া ও বিশ্বের সমৃদ্ধ উন্নয়নে অবদান রাখা। এশিয়ায় প্রধান অর্থনীতি হিসেবে চীন বহু পক্ষবাদ ও আঞ্চলিক সহযোগিতায় অব্যাহতভাবে ভূমিকা রাখবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ থাকলেও সহযোগিতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’

এ সময় বিশ্ব নেতারা বিভিন্ন দেশের যৌথভাবে সহযোগিতা জোরদার, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং আরও শক্তিশালী এশিয়া গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বোয়াও এশিয়া ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল, ‘একটি অনিশ্চিত বিশ্ব: চ্যালেঞ্জসমূহ, উন্নয়নের জন্য সংহতি ও সহযোগিতা’।

বোয়াও সম্মেলনে যোগ দিয়ে বক্তব্য দেন চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। ছবি: নিউজবাংলা

ফোরামে যোগ দিয়ে চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বলেন, ‘অনিশ্চয়তার বিশ্বে চীনের স্থিতিশীলতা একটি প্রধান ভিত্তি, যা বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নকে রক্ষা করে। এটি অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি বাস্তবসম্মত।

‘বিশ্ব যেভাবেই পরিবর্তিত হোক না কেন, চীন সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ এবং উদ্ভাবন-চালিত উন্নয়ন মেনে চলবে। এটি করার মাধ্যমে চীন কেবল বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন প্রেরণা দেবে না, বরং বিশ্বকে চীনের উন্নয়ন থেকে সুযোগ নিতে সক্ষম করবে।’

কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব থেকে চীনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রবণতা উল্লেখ করে লি বলেন, ‘মার্চ মাসে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির তুলনায় মূল সূচকগুলোর ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে। চীনের অর্থনীতির প্রচুর সম্ভাবনা ও প্রাণশক্তি রয়েছে।

‘চীনের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়া, স্থিতিশীল ও টেকসই প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখার ব্যাপারে আমাদের আত্মবিশ্বাস রয়েছে।’

লি কিয়াং উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশ রক্ষা এবং বৈশ্বিক অস্থির অবস্থায় যৌথভাবে চেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান। বলেন, ‘এশিয়া ভবিষ্যতে বৃহত্তর উন্নয়ন অর্জন করতে চাইলে অবশ্যই বিশৃঙ্খলা বা যুদ্ধ হবে না। চীন শান্তিপূর্ণ উপায়ে দেশগুলোর মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে এবং যৌথভাবে বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

‘চীন সব সময় বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করাতে গুরুত্ব দিয়েছে। চীন বাজারে প্রবেশের সুযোগ আরও সহজ করবে, উচ্চমানের মুক্ত বাণিজ্য এলাকার বিশ্বভিত্তিক নেটওয়ার্ক প্রসারিত করবে।’

বৈশ্বিক অর্থনীতি বেশ কিছুদিন ধরেই মহামারি, ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব এবং বিশ্বায়ন বিরোধী মনোভাবসহ বেশ কয়েকটি কারণে চাপে রয়েছে। তবে প্রতিটি মেঘের একটি রূপালী আস্তরণ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন।

তিনি বলেন, ‘উদীয়মান ও উন্নয়নশীল এশিয়া বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির প্রধান চালক। এশিয়া বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে ৭৫ শতাংশ অবদান রাখবে।’

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেন, ‘বাণিজ্য একীকরণের কল্যাণে গত কয়েক বছরে এশিয়ার অর্থনীতির শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। গত তিন বছরে নিম্ন আয়ের অনেক দেশ সমস্যায় পড়েছে৷ খাদ্য নিরাপত্তাসহ অনেক দেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয়েছে। এসব দেশকে টেনে তোলার পরিকল্পনা নিতে হবে। সহায়তার মাধ্যমে এসব সমস্যা দূর করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর