রোজার প্রথম দিন শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অভিযান চালিয়েছিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় রমজানের দ্বিতীয় দিন শনিবার ঢাকা নিউ মার্কেটের কাঁচাবাজারে অভিযান শুরু করে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মন্ডল নিউজবাংলাকে জানান, অভিযানে রমজানে বেশি বিক্রি হয় এমন পণ্যগুলোর দাম ঠিক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি পণ্যগুলোর সরবরাহ ঠিক আছে কি না, তাও দেখা হবে।
তিনি জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হওয়া এ অভিযানে নেতৃত্বে আছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
এর আগে প্রথম রোজায় কারওয়ান বাজারে অভিযানেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
গতকাল কারওয়ান বাজারে অভিযান নিয়ে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বেসরকারি চ্যানেল আরটিভিকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুসারে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনসহ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বিএসটিআই, সিটি করপোরেশন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ—আমরা সমন্বিতভাবে এবারে বাজার তদারকিতে নেমেছি। দেখার বিষয় হলো বাজারে মানুষ সেবা পাচ্ছে কি না, মূল্য কতটুকু বেড়েছে। আল্লাহর রহমতে মুদির দোকানদাররা বলেছে, পণ্যের মূল্য কিন্তু আগের চেয়ে কমতির দিকে।
‘মুরগি নিয়ে সবার একটা ক্ষোভ ছিল, আক্ষেপ ছিল। গতকাল (বৃহস্পতিবার) তারা যে দাম কমিয়েছে, সেটা বাজারে খুচরা পর্যায়ে আসতে তিন দিন লাগবে, তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যেই বেগুন আমরা পাইকারি বাজারে পেয়েছি ৪০ টাকা, কারওয়ান বাজারে খুচরা দেখেছি আমরা সেটা ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তখন আমরা মার্কেট সমিতির সেক্রেটারি মহোদয়কে বলেছি, এটা আজকের মধ্যেই ঠিক করতে হবে। কারণ আমরা এবার যদি বাংলাদেশের সব ব্যবসায়ী সমিতি, তারা যদি দায়িত্ব না নেয়, তাহলে কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আমরা তাদের বিরুদ্ধে লিখব।’
ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভাউচার রাখা ও রসিদ দেয়ার কথা বলা হয়েছে জানিয়ে ভোক্তা অধিকারের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘পাশাপাশি আমরা আরেকটা যে বিষয় বলেছি সবাইকে, ক্রয় ভাউচার রাখতে হবে; বিক্রয় রশিদ দিতে হবে। আর মূল্যতালিকা টানাতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের যে ঢাকা মহানগরীতে সাতটি টিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চারটি, দেশব্যাপী ভোক্তা অধিকারের ৫৬টি টিম কাজ করবে এবং আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পাইকারি বাজারগুলোতে অবস্থান করছি।
‘আমাদের টিম রয়েছে কাপ্তানবাজারে, আমাদের টিম রয়েছে মিরপুর শাহ আলী মার্কেটে, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে। সব বাজারগুলোতে যাচ্ছি আমরা। বনানী থেকে উত্তরা, সব বাজার। আমরা চাইব ব্যবসায়ী সমিতি, যারা বাজারে থাকবেন। তারা থেকে এটা নিশ্চিত করবেন।’