বৈশ্বিক এ সংকটের সময়ে জ্বালানি খাতের ভবিষ্যৎ একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত যে দামে জ্বালানি কিনছে সে দামেই বিক্রি করছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জ্বালানি খাতে আর কোনো ভর্তুকি দেয়া হবে না।
রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে এক সেমিনারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নসরুল হামিদ বলেন, ‘একটা গ্রামে ১০টি বাড়ি সেখানেও সাবস্টেশন করা হয়েছে। যেখানে ১০০ বছর বিল দিলেও সেটার দাম উঠবে না। তারপরও আমরা সেখানে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছি।
‘আমরা সব জায়গায় ব্যবসা দেখিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সবার ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া হবে। ক্যাপাসিটি কী পরিমাণ বেড়েছে সেটা জিডিপির গ্রোথ দেখলেই বোঝা যায়।’
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রামে যে ছোট ছোট বিজনেস তৈরি হয়েছে সেটা বিদ্যুতের আলোর কারণে। প্রত্যন্ত গ্রামের বাজার গভীর রাতেও খোলা থাকে। সেখানে এখন রাত ১২টার দিকেও ব্যবসা চলে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে যা গ্রোথ হয়েছে তার থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে গ্রামে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কয়লা নিয়ে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে আমাদের। অন্য দেশ কয়লা সব উঠিয়ে ফেলেছে, আমরা কেন তুলছি না। আমরাও তাদের মতো যে ঝাঁপিয়ে পড়বো সেটা কিভাবে হয়। যেখানে হাজার হাজার একর কৃষিজমি নষ্ট হবে সেই কৃষকদের কী হবে? আমরা যদি সেখানে পাওয়ায় প্লান্ট বানাই কৃষক তো সেখানে কাজ করতে পারবে না। তারা তো বেকার হয়ে যাবে। তাদের ইকোনমির বিষয়টাও আমাদেরকে চিন্তা করতে হয়।’
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান, বুয়েটের অধ্যাপক ডক্টর ইজাজ হোসাইন, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান, ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর প্রমুখ।