দেশের উন্নয়নে প্রাইভেট সেক্টরকে আরও বেশি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, ‘সরকারের সঙ্গে আরও বেশি কোলাবোরেশন করে নতুন নতুন পণ্য নিয়ে আসতে আমি প্রাইভেট সেক্টরকে অনুরোধ করছি।’
রোববার ‘লিভারেজিং গ্রোয়িং মিডল অ্যান্ড এফুলেন্ট ক্লাস ফর এ ভাইব্রেন্ট কনজুমার গুডস সেক্টর’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) চলমান বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ এর অংশ হিসেবে রোববার এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের এমডি রূপালী চৌধুরী।
বিআইসিসিতে শনিবার তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই দিন সামিটের অন্যতম আকর্ষণ ‘বেস্ট অফ বাংলাদেশ এক্সপোর’-এরও উদ্বোধন করেন তিনি।
সেমিনারে রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের একজন প্রতিনিধির প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে খাদ্যের সনদ নিতে গেলে ১৭টি কর্তৃপক্ষের পারমিশন বা সনদ নেয়া লাগে। আমিও মনে করি এটা অনেক কষ্টকর। তবে খাদ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হওয়ায় এখানে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ইতোমধ্যে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছে। ডিসিপ্লিন এসেছে ই-কমার্স খাতে। একশ’ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের লক্ষ্যে কাজ করছে দেশ। এই বিনিয়োগে আমাদের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করছে এফবিসিসিআই।’
সমাপনী বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আমাদের দেশে ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিকসের একটা শিল্প গড়ে উঠেছে, যাদেরকে উচ্চ মাত্রার ডিউটি দেয়া হচ্ছে। ২৬ সালের পর এই ডিউটি কমিয়ে দিয়ে ডব্লিউটিওর আইন অনুযায়ী করতে হবে। নইলে ডব্লিউটিও আমাদের নামে মামলা করবে।’
ইউনিলিভার বাংলাদেশের এমডি ও সিইও জাবেদ আখতার বলেন, ‘আমরা শুধু আরবানে ফোকাস করে আছি। কিন্ত ৬০ শতাংশ মানুষ রুরালে আছে, যেটা আমরা ফোকাস করি না। তাই সেদিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত।’
এমসিসিআই সভাপতি মো. সায়ফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এমন পণ্য তৈরি করতে হবে যেন অন্যান্য দেশ আমাদের সেসব পণ্য খোঁজে এবং সেগুলো ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হয়।’
তুরস্ক-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেদায়েত অনুর উযদেন বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে অনেকদূর এগিয়েছে। বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে।’
বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন সোসাইটির চেয়ারম্যান নকিব খান বলেন, ‘ফুড সাপ্লাই চেইন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পায় না। ফুড সেফটি অনেক ক্রুশিয়াল। এই এরিয়াটাতে আমাদের অনেক ফোকাস করতে হবে।’
এপেক্স ফুটওয়্যারের এমডি নাসিম মনজুর বলেন, ‘আমরা চামড়া খাতে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। অনেক কোলাবোরেশন করছি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোলাবোরেট করেছি। আরএমজি খাত যেভাবে এগিয়েছে যদি তা না হতো আমরা এখানে আসতে পারতাম না।
‘গবেষণায় কোনো ট্যাক্স ইনসেনটিভ নেই। এটাই উপযুক্ত সময় আরও বেশি গবেষণার মাধ্যমে খাতগুলোকে এগিয়ে নেয়ার।’
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ম্যারিকো বাংলাদেশের এমডি রজত দিবাকর, সিঙ্গার বাংলাদেশের এমডি ও সিইও এম এইচ এম ফাইরুজ প্রমুখ।