বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খরা কাটিয়ে লেনদেন বাড়লেও দরপতন পুঁজিবাজারে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৭:২০

ডিবিএ সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, ‘শুধু লেনদেন কমা নয়, একটার পর একটা প্রতিষ্ঠান শেষ হয়ে যাবে। আমরা তো বিনিয়োগকারীদের তাড়িয়ে দিয়েছি। একটা লোক ১০ কোটি টাকা ইনভেস্ট করতে আগ্রহী। কিন্তু তিনি ভয় পান। যদি তার শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে চলে আসে তাহলে তিনি বেচতে পারবেন না, টাকা বের করতে পারবেন না। ফ্লোর প্রাইস না উঠানো পর্যন্ত বাজার ঠিক হবে না। গলা টিপে রেখে বাজারকে স্থিতিশীল রাখা যায় না।’

পুঁজিবাজারে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে রোববার। এর আগে টানা সাতদিনই বাজারে লেনদেন ছিল পড়তির দিকে। সোমবার লেনদেন বেড়ে ৩০০ কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করেছে। তবে ব্যাপক দরপতন ও সমানসংখ্যক কোম্পানির ফ্লোর প্রাইসে লেনদেনের কারণে সূচক বেশি না কমলেও পতন ঠেকানো যায়নি।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বৃদ্ধির ১০ গুণের বেশি দরপতন হয়েছে। কেবল ১৪টি কোম্পানির দর বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৪২টির দর।

বেড়েছে ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন করা শেয়ারের সংখ্যাও। ১৪১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে, যা আগের দিন ছিল ১৩২।

সব মিলিয়ে লেনদেন হয়েছে ২৯৭টি কোম্পানির। যদিও তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ৩৯২টি। এর মধ্যে একটির লেনদেন দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত। আর ৪টির লেনদেন রেকর্ড ডেটের কারণে বন্ধ রয়েছে। ফলে ৯০টি কোম্পানির একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি।

সর্বোচ্চ সীমায় দর বৃদ্ধি হয়েছে একমাত্র আইসিবির গোল্ডেন জুবিলি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। ইউনিটপ্রতি দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এর পরই এমারেল্ড অয়েলের দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এছাড়া ২টির ২ শতাংশের বেশি, ৪টির ১ শতাংশের বেশি ও অন্যগুলোর দর বেড়েছে ১ শতাংশেরও কম।

ফ্লোর প্রাইসের কারণে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন না হলেও সূচক কমেছে ৯ পয়েন্ট। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৮ পয়েন্টে, যা গত ১২ জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন। সেদিন সূচকের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ২১৫ পয়েন্ট।

অন্যদিকে ৮ ফেব্রুয়ারি ৭৪৮ কোটি ৪৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা লেনদেনের পর টানা সাত কর্মদিবস কমে রোববার ২৮৫ কোটি ১৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা লেনদেন হয়, যা ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল ৮ জানুয়ারি। সেদিন টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৮৪ কোটি ২০ লাখ ৩ হাজার টাকা।

সেখান থেকে ৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বেড়ে সোমবার ডিএসইতে হাতবদল হয়েছে ৩২৬ কোটি ৭২ লাখ ৬২ হাজার টাকার শেয়ার, বন্ড ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

পুঁজিবাজারের লেনদেনের বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, ‘শুধু লেনদেন কমা নয়, একটার পর একটা প্রতিষ্ঠান শেষ হয়ে যাবে। আমরা তো বিনিয়োগকারীদের তাড়িয়ে দিয়েছি। একটা লোক ১০ কোটি টাকা ইনভেস্ট করতে আগ্রহী। কিন্তু তিনি ভয় পান। যদি তার শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে চলে আসে তাহলে তিনি বেচতে পারবেন না, টাকা বের করতে পারবেন না। আর টাকা বের করতে না পারলে কেন তিনি বিনিয়োগ করবেন? ফ্লোর প্রাইস না উঠানো পর্যন্ত বাজার ঠিক হবে না। গলা টিপে রেখে বাজারকে স্থিতিশীল রাখা যায় না।’

তিনি বলেন, ’৬০ শতাংশ কোম্পানি এবার দেখিয়েছে তাদের আয় খারাপ। তাহলে মার্কেটকে নামতে দিতে হবে না? কোম্পানি আয় করেছে খারাপ, আর শেয়ারের দাম আটকে রেখেছেন। তা কি সম্ভব?

ডিবিএ সভাপতি বলেন, ‘৬০ শতাংশ কোম্পানি এবার আয় খারাপ দেখিয়েছে। বাকি যে ৪০ শতাংশ আয় ভালো দেখিয়েছে, তার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশের স্পন্সর ডিরেক্টরদের শেয়ার আটকা। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে, জোর করে আয় দেখিয়েছে। যদি টেক্সটাইল সেক্টরে ৫০টি কোম্পানি থাকে, তার মধ্যে যদি ৪০টি কোম্পানি খারাপ করে, তাহলে ১০টি ভালো করে কীভাবে?’

তিনি যোগ করেন, ‘যতদিন বাজারকে নিজস্ব গতিতে চলতে দেয়া না হবে, ফ্লোর প্রাইস না উঠানো হবে ততদিন বাজার ভালো হওয়ার সম্ভাবনা কম। আরও আগেই যদি ফ্লোর তোলা হলে ক্ষতি কম হতো। এটা তুলতে যত দেরি হবে, ব্লিডিংও তত বেশি হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর