কিছু সমস্যা থাকলেও বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য পুরোপুরি প্রস্তত। এ অবস্থায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদ হার কমালে তা হিতে বিপরীত হতে পারে। কেননা সুদের হার বাড়ালে মূল্যস্ফীতি কমার নিশ্চয়তা নেই। উল্টো বিনিয়োগ কমে যেতে পারে।
শনিবার রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি জানান, ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের আয়োজন করতে যাচ্ছে এফবিসিসিআই। ১১-১৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই সামিটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনে ১২টি দেশের শীর্ষ পর্যায়ের মন্ত্রী, বিভিন্ন বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীসহ নানা স্তরের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘স্বাধীনতার পর আমাদের যে অর্থনীতি ছিল তার সঙ্গে আজকের অর্থনীতির পার্থক্য অনেক। বর্তমানে আমাদের অর্থনীতির আকার ৪৭০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতির এই গতি আরও ত্বরান্বিত করতে এই সামিটের আয়োজন করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য, বাংলাদেশের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্ভাবনা বিশ্বের কাছে তুলে ধরা।’
তিনি বলেন, ‘সরকার টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্যে দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছে। বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণে অবকাঠামোর উন্নয়ন করছে। অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে সরকার ‘বিজনেস ফ্যাসিলিটেশন’কে গুরুত্ব দিচ্ছে। সুতরাং এখনই সময় বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করার। এখনই সময় ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির পথে যাত্রা ত্বরান্বিত করার।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, শিল্প বিকাশে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট বর্তমানে একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এতে আমাদের কোনো হাত নেই। তবে একসঙ্গে বিদ্যুতের দাম এতো বাড়ানোয় ব্যবসায়ীদের ওপর কিছুটা হলেও চাপ পড়েছে। এটা ধাপে ধাপে বাড়ালে এতোটা প্রভাব পড়ত না। অবশ্য আগামীতে আন্তর্জাতিকভাবে দাম কমলে দেশেও দাম কমবে- সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের এ বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে।’