বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির প্রতিযোগিতামূলক একই পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রূপালী ব্যাংকে যোগদানকারীদের একজন এমডি, ১২জন ডিএমডি হয়েছেন। আর একই সঙ্গে সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকে যোগ দেয়া কর্মকর্তারা ডিজিএম রয়ে গেছেন।
এই বৈষম্য দূর না করে উল্টো গত জানুয়ারিতে দেয়া পদোন্নতির নতুন নীতিমালায় রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা আরও এগিয়ে যাবেন। এরকম বাস্তবতায় নতুন নীতিমালা রহিত করার দাবি জানিয়ে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি দিয়েছে ব্যাংকারদের বিভিন্ন সংগঠন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংকে বর্তমানে মহাব্যবস্থাপক পর্যন্ত পদ খালি থাকা সাপেক্ষে পদোন্নতি ও পদায়ন করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। ডিএমডি ও এমডি পদোন্নতিও পদায়ন করে সরকার।
তবে গত ৩ জানুয়ারির নীতিমালায় বলা হয়েছে, ডিজিএম থেকে জিএম পদে পদোন্নতি ও পদায়ন করবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। আর এ ক্ষেত্রে ডিজিএম পদে কমপক্ষে তিনবছর এবং ৯ম গ্রেড থেকে কমপক্ষে ১৮ বছর কাজের অভিজ্ঞ থাকতে হবে। এই নীতিমালায় বৈষম্য আরও বাড়বে।
বৈষম্য বৃদ্ধির কারণ জানিয়ে ব্যাংকাররা জানান, ২০০৫-২০০৬ সালের দিকে রূপালী ব্যাংক বিক্রির আলোচনার পর অনেকে এখান থেকে চাকরি ছেড়ে দেন। এতে রূপালী ব্যাংকে অনেক পদ খালি হওয়ায় শুন্য পদে তারা দ্রুত পদোন্নতি পেয়ে যান। পদ খালি না থাকায় অন্য তিন ব্যাংকের কর্মকর্তারা অনেক পিছিয়ে পড়েন।
নতুন নীতিমালার ফলে অন্য ব্যাংকের বেশিরভাগ জিএমের শুন্য পদ পূরণ হবে রূপালী ব্যাংক থেকে। এতে রূপালী ব্যাংকের জুনিয়র কর্মকর্তারা অন্য তিন ব্যাংকে জিএম পদে পদায়ন হবেন। জুনিয়ররা ওপরে বসায় তাদের চাকরির বয়স থাকবে অনেক দিন। ফলে পরবর্তী পদে আর কখনো তারা পদোন্নতি পাবেন না।
একজন কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানার জনতা ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক পদে শিগগিরই ২৭টি পদ খালি হবে। তবে ৩ বছর ও ১৮ বছরের শর্তের কারণে যোগ্য হবেন মাত্র ১২ জন। বাকি ১৭জনকে রূপালী ব্যাংক থেকে আনতে হবে। একই পরিস্থিতি তৈরি হবে অন্য দুই ব্যাংকে।