জাপান থেকে ৬৯০ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে সরকার। প্রতি ইউনিটের মূল্য ১৬ দশমিক ৫ ডলার।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীনে পেট্রোবাংলার মাধ্যমে জাপানের জেরা কোম্পানির এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করা হবে।
সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। তিনি বলেন, মাস্টার সেল অ্যান্ড পার্চেজ অ্যাগ্রিমেন্ট বা মিলিত বিক্রয়-ক্রয় চুক্তিতে (এমএসপিএ) স্বাক্ষর করা প্রতিষ্ঠান থেকে থেকে কোটেশন সংগ্রহ করে ওই এলএনজি আমদানি করা হবে।
সাঈদ মাহবুব জানান, জাপানের জেরা কোম্পানি থেকে ৬৯০ কোটি ৪২ লাখ ৯ হাজার ৩১২ টাকা দিয়ে এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে খরচ হবে ১৬ দশমিক ৫০ ডলার।
ফসফরিক অ্যাসিড ও রক ফসফেট কেনা হবে
সভায় ৪৫ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড ও রক ফসফেট কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড এবং ২৫ হাজার টন রক ফসফেট রয়েছে। এজন্য ব্যয় হবে ২০৭ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ১৩৮ টাকা।
সাঈদ মাহবুব খান জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক চট্টগ্রামের ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (ডিএপিএফসিএল)-এর জন্য ২০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১১৯ কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ১০০ টাকা।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিসিআইসি কর্তৃক চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেড (টিএসপিসিএল)-এর জন্য ২৫ হাজার মেট্রিক টন রক ফসফেট কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মেসার্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনপুট থেকে ৮৮ কোটি ৬ লাখ ১৭ হাজার ৩৮ টাকা দিয়ে এ রক ফসফেট কেনা হবে।
এ ছাড়া সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় খয়রাবাদ নদীর ওপর ৭৩০ মিটার ব্রিজ নির্মাণের পূর্ত কাজ যৌথভাবে এম এম বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পোদ্দার এন্টারপ্রাইজকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যয় হবে ১২৩ কোটি ৯ লাখ ৭১ হাজার ৮২ টাকা।