শেয়ারপ্রতি ১০ টাকার বেশি লোকসানে থাকার পরও বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস পিএলসি। গত বছরের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সোমবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ।
কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ বা প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা দেবে। যদিও অর্থবছরটিতে শেয়ার প্রতি ১০ টাকা ৭০ পয়সা লোকসান হয়েছে।
লোকসানের পরও লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোম্পানি সচিব কাজী মো. শফিকুর রহমান বলেন, কোম্পানিগুলো মুনাফার পুরো অংশ বিনিয়োগকারীদের দেয় না। লাভের কিছু অংশ ধরে রাখে। গত অর্থবছরে প্রিমিয়ার সিমেন্ট লোকসান গুনেছে। কিন্তু অতীতের অর্থবছরগুলোতে মুনাফায় ছিল। সেখান থেকে লভ্যাংশ দেয়া হবে।’
রিজার্ভ থেকে লভ্যাংশ দেয়ার বিষয়টিকে অবশ্য নেতিবাচকভাবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, কোম্পানির রিজার্ভ থেকে লভ্যাংশ দেয়া ভাল বার্তা নয়। কারণ, মন্দ সময়ে কোম্পানি পরিচালনা বা উন্নয়নে তা ব্যয় করা হয়। সেই টাকা থেকে লভ্যাংশ দিলে পরবর্তীতে ঝুঁকিতে পড়তে পারে কোম্পানি।
তবে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘রিজার্ভ থেকে লভ্যাংশ দিলেও ক্ষতি নেই, যদি রিজার্ভ ভালো থাকে। যদি পর্যাপ্ত না থাকে তাহলে শঙ্কার বিষয়।’
এদিকে চলতি অর্থবছরের দুই প্রান্তিকেও (জুলাই-ডিসেম্বর) বিপুল লোকসান করেছে কোম্পানিটি। ওই ৬ মাসে শেয়ার প্রতি সমন্বিত লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে হয়েছিল শেয়ার প্রতি সমন্বিত মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল ২৩ পয়সা। সেই হিসাবে শেয়ার প্রতি লোকসান ২ টাকা ৬৮ পয়সা।
গত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত লোকসান হয়েছে ১০ টাকা ৭০ পয়সা। তার আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ৬ টাকা ১৮ পয়সা। ২০২২ সালের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৭ টাকা ১৩ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য ২৮ মার্চ বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম করবে কোম্পানিটি। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ মার্চ। অর্থাৎ ওইদিন পর্যন্ত যাদের পোর্টফোলিওতে শেয়ারটি থাকবে, তারাই লভ্যাংশ পাবেন।