তুরস্কে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তাদের এই উদ্ধার তৎপরতায় রাত-দিন একাকার।
ফায়ার সার্ভিস মেডিয়া সেল সোমবার এ তথ্য জানায়।
সেনা সদস্যদের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রবেশপথ তৈরি করে ঢুকে পড়ছেন ধসে পড়া ভবনের ভেতরে। দিনের পাশাপাশি রাতেও তারা কাজ করে চলেছেন। অনুসন্ধান চালাচ্ছেন আটকেপড়া মানুষের। তা সে জীবিত বা মৃত যাই-ই হোক।
তুরস্কের আদিয়ামান শহরের জুর হেরিয়াত মাহেল্লিসি এলাকায় সোমবার চতুর্থ দিনের মতো উদ্ধার কাজ চালান বাংলাদেশের সমন্বিত বাহিনীর সদস্যরা। এদিন তারা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত তারা এক কিশোরীকে জীবিত উদ্ধার ছাড়াও মোট ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করলেন।
তুরস্কে উদ্ধারকারী দলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফয়সালুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে উদ্ধার সহায়তা ও চিকিৎসা দিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ৪৬ সদস্যের একটি দল বুধবার রাত ১০টায় বিমান বাহিনীর সি-১৩০ বিমানে তুরস্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে।
পরদিন বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৬ মিনিটে দলটি তুরস্কের আদানা মিলিটারি বেইসে পৌঁছে। সেখান থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরের গন্তব্য আদিয়ামানের উদ্দেশে বাসে রওনা হন দলের সদস্যরা। আদিয়ামান শহরে পৌঁছে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ শুরু করে।
ইন্টারন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অ্যাডভাইজার গ্রুপ-এর নীতিমালার আলোকে ২৪ জন সেনাসদস্য এবং ১২ জন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যের সমন্বয়ে ৩৬ সদস্যের আরবান সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে গেছে।