ভুল তথ্য প্রকাশের জের ধরে পর্ষদ শো-কজ করার কথা বললেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভারপ্রাপ্ত এমডি চার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছিলেন। এবার ওই চার কর্মকর্তার বিষয়ে তদন্ত করতে ২ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ডিএসইর মানবসম্পদ বিভাগ।
ডিজিএম শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়াকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে এমডির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকাভুক্ত কোম্পানির আর্থিক ফলাফল ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশের ক্ষেত্রে সম্প্রতি বেশকিছু ভুলের ঘটনা ঘটে। ৩১ জানুয়ারি ইস্টার্ন কেবলস লিমিটেড ও ১ ফেব্রুয়ারি বিচ হ্যাচারির ভুল আর্থিক ফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে ডিএসই।
এক্ষেত্রে ইস্টার্ন কেবলসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হলেও ডিএসইর ওয়েবসাইটে এটিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হিসেবে প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে বিচ হ্যাচারির এক প্রান্তিকের ইপিএসের তথ্য অন্য প্রান্তিকে দেখানো হয়। লেনদেন চলাকালে বিভ্রান্তিকর এসব তথ্যের প্রভাবে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে সে সময় অভিযোগ ওঠে।
ভুল তথ্য প্রকাশের এসব ঘটনার জের ধরে ৮ ফেব্রুয়ারি ভারপ্রাপ্ত এমডি এম সাইফুর রহমান মজুমদার মার্কেট অপারেশন্স বিভাগের প্রধান ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রনি ইসলাম, একই বিভাগের ব্যবস্থাপক কামরুজ্জামান ও হুমায়ূন কবীর এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ রাকিবুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করেন।
ডিএসইর পর্ষদ সভায় বিভ্রান্তিকর এসব তথ্য প্রকাশের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত এমডির কাছে জানতে চাওয়া হয়। এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে পর্ষদ। ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু শো-কজ না করে ভারপ্রাপ্ত এমডি তাৎক্ষণিক বরখাস্তের আদেশ জারি করেন।