আগামী চার বছরের মধ্যে পুরোপুরি না হলেও ৭৫ শতাংশ লেনদেন ক্যাশলেস মাধ্যমে আনার চেষ্টার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি বলেছেন, মানুষের হাতে নগদ অর্থ যত কম থাকবে, অর্থনৈতিক কার্যক্রম তত বাড়তে থাকবে।
রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
বিডার সঙ্গে চারটি প্রতিষ্ঠানের সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, কমার্শিয়াল ব্যাংক অফ সিলন পিএলসি ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিডার ওয়ান স্টপের মাধ্যমে ১৫০টি সেবা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ৬৭টি সেবা দিচ্ছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে নতুন করে আরও ১২টি সেবা যুক্ত করা হবে।
বিডার সঙ্গে সমঝোতার স্মারক অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক আটটি সেবা দেবে। এর আওতায় অনলাইন ওয়ান স্টপ সেবার মাধ্যমে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় মেয়াদি ঋণ গ্রহণ, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির দেশ থেকে বিদেশে আবার বিদেশ থেকে দেশে এবং বিদেশ থেকে বিদেশের অনুকূলে শেয়ার হস্তান্তর করা, বিদেশ থেকে কোনো কোম্পানির প্রফিট দেশে ফিরিয়ে আনা, পরামর্শক ফি বিদেশে পাঠানো, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন প্রতিষ্ঠান বিদেশি মালিকের শেয়ার দেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির অর্থ বিদেশে নিতে পারা, বাংলাদেশে বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের অর্থ পুনরায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে পরিষদের সুযোগ এবং বাংলাদেশের বিদেশি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে অবশিষ্ট অর্থ বিদেশে পাঠানোর সুযোগ পাবে।
এছাড়া অগ্রণী ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা অনলাইনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। কমার্শিয়াল ব্যাংক অফ সিলন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সাময়িক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও অনলাইন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে।
গভর্নর বলেন, ‘আমাদের বিনিয়োগ যত বাড়বে তত কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। প্রতি বছর আমাদের প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষ কর্মবাজারে প্রবেশ করছে। এর মধ্যে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ হাজার সরকারি চাকরিতে যোগ দিচ্ছে। চার থেকে পাঁচ লাখ লোক বিদেশে যায়। বাকিদের কর্মসংস্থান দেশের মাটিতেই করতে হবে। আর সে জন্য বিনিয়োগের বিকল্প নেই।’
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অনলাইন ওয়ান স্টপ সার্ভিস সিস্টেম সেবা চালু করে বিডা।
বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা বক্তব্য দেন।