বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইচ্ছেমতো লেনদেন ‘বাংলা কিউআর’ কোডে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২১:৫২

বুধবার বাংলা কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেনের প্রসারে আগে জারি করা নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন এনে নতুন করে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আর্থিক লেনদেন বা কেনাকাটায় নগদ টাকার ব্যবহার কমছেই। এখন চলছে কার্ড, কুইক রেসপন্স কোড (কিউআর) ও অনলাইনভিত্তিক লেনদেন। এ অবস্থায় আগামী ৩০ জুনের মধ্যে যেসব ব্যাংকের নিজস্ব কিউআর কোড চালু রয়েছে, সেগুলোকে ‘বাংলা কিউআর’ দ্বারা প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সেই সঙ্গে কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেনের প্রসারে দৈনিক লেনদেনে ২০ হাজার টাকার যে সীমা ছিল, সেটাও প্রত্যাহার করা হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের লেনদেনেও বাংলা কিউআর কোড চালু করেছে।

বুধবার বাংলা কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেনের প্রসারে আগে জারি করা নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন এনে নতুন করে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানগুলো চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে নিজস্ব প্রোপ্রিয়েটারি কিউআর কোড থাকলে বাংলা কিউআর কোড দ্বারা প্রতিস্থাপন করতে হবে। কোডভিত্তিক লেনদেনের ক্ষেত্রে একক ব্যক্তিক হিসেবে দৈনিক লেনদেনের সীমা সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা রহিত করা হয়েছে। তবে ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব ঝুঁকি বিবেচনায় মার্চেন্ট পেমেন্টের ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক বাংলা কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেনের জন্য একক লেনদেনের সীমা, দৈনিক লেনদেনের সীমা এবং সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেন বিশেষত সন্দেহজনক বা বড় অঙ্কের লেনদেনে ব্যাংক বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যথাযথভাবে যাচাই বা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।

নগদবিহীন লেনদেনের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে কার্ড এবং এমএফএস জনপ্রিয়। তবে এই সেবার জন্য পস মেশিন দরকার হয়। যা কেবল বড় বড় শপিংমল এবং সুপার শপগুলোতেই দেখা যায়। এসব জায়গায় সাধারণত উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি লেনদেন করতে পারে। তবে সমাজের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরও ডিজিটাল লেনদেনে যুক্ত করার জন্য কিউআর কোডের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়েছে।

কিউআরের পূর্ণরূপ হচ্ছে কুইক রেসপন্স। এটি একটি কন্টাক্টলেস পেমেন্ট পদ্ধতি, যেখানে কিউআর কোডটি মোবাইল অ্যাপে স্ক্যান করে সহজেই লেনদেন করা যায়। এ ক্ষেত্রে এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কেবল যেকোনো একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকলেই হবে। এক ব্যাংকের কিউআর কোড থাকলে যেকোনো ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন করতে পারবেন।

এর আগে ২০২১ সালে জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ ব্যাংক সব ধরনের লেনদেন কিউআর কোডভিত্তিক করতে চায়। এ জন্য আলাদা বাংলা কিউআর কোড চালু করেছে। আগামী বছর থেকে কিউআর কোডভিত্তিক সব লেনদেন হবে বাংলা কিউআর কোডের মাধ্যমে। ইতিমধ্যে যেসব ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কিউআর কোড চালু করেছে, তাদেরও চলতি বছরের মধ্যে বাংলা কোডে যেতে হবে। এভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক সারা দেশে একই রকমের কোডভিত্তিক লেনদেন ছড়িয়ে দিতে চায়।

কিউআর কোডের মাধ্যমে নগদ টাকার ব্যবহার ছাড়া লেনদেন দেশেও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ১৯৯০ সালের পরে বিশ্বে কিউআর কোডের প্রচলন শুরু হয়। বাংলাদেশে চালু হয় কয়েক বছর আগে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ১১ মার্চ বাংলা কিউআর স্ট্যান্ডার্ড ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ বিভাগের আরো খবর