বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডলার সংকট না কাটলে রমজানেও বিদেশি ফল আমদানি নয়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৮:৪২

সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে টিসিবির জন্য এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও ৮ হাজার টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর রমজান সামনে রেখে টিসিবির পণ্যের দাম কমানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রমজান মাসে বরাবরই ফলের চাহিদা বেশি থাকে। এ সময়ে দেশি বিভিন্ন জাতের ফলের পাশাপাশি আমদানি করা ফলের বিক্রিও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে ফল আমদানিতে ব্যাংকে ঋণপত্র (এলসি) খোলা বন্ধ রয়েছে। ডলারের চলমান সংকট না কাটলে আসন্ন রমজানে মাসেও ফল আমদানির জন্য এলসি খোলার সুযোগ তৈরি হচ্ছে না।

বুধবার সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমন তথ্য জানিয়েছেন।

বৈঠকে আসন্ন রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও ৮ হাজার টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই দুটি ক্রয় প্রস্তাবসহ মোট ১৫টি প্রস্তাব পাস হয়েছে বৈঠকে।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ‘মোট ১৯৪ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকায় উন্মুক্ত পদ্ধতিতে সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল কেনা হচ্ছে। প্রতি লিটার তেলের দাম পড়বে ১৭৬ টাকা ৮৮ পয়সা, যা আগের কেনাকাটার সময় ছিল ১৭৭ টাকা। তেল সরবরাহ করবে মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারি।

‘প্রতি কেজি ৯১ টাকা ৬০ পয়সা করে টিসিবির জন্য ৮ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। মোট দাম পড়বে ৭৩ কোটি ২৯ লাখ ৩২০ টাকা। তুরস্কের একটি কোম্পানির স্থানীয় এজেন্টের কাছ থেকে কেনা হয়েছে এই মসুর ডাল।’

রমজান সামনে রেখে টিসিবির সরবরাহ করা পণ্যের দাম কমানোর কোনো পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘দাম কমানোর সুযোগ নেই। প্রতি মাসেই টিসিবির জন্য পণ্য কিনতে হচ্ছে। রমজান সামনে রেখে একটু বেশি কিনতে হচ্ছে।’

ডলার সংকট কমলেই ফল আমদানি

ফল আমদানির জন্য এলসি (ঋণপত্র) খোলা যাচ্ছে না। আমদানি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বিদেশি ফলের দাম দিন দিন বেড়ে চলেছে। অথচ রোজায় ফলের চাহিদা থাকে ব্যাপক। আগামী মার্চের শেষ সপ্তাহে এবারের রমজান মাস শুরু হবে। রোজায় মাছ-মাংস, তেল-চিনির পাশাপাশি ফলমূলের চাহিদাও বেড়ে যায়। তবে এই মুহূর্তে আমদানি নিয়ন্ত্রিত থাকার কারণে ফল আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে আসছেন।

এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘ফল তো আমাদের দেশে প্রচুর হচ্ছে। এখন আমাদের দেখতে হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রায় অতিরিক্ত চাপ যেন না পড়ে। এছাড়া দেশে যে ফল উৎপাদন হচ্ছে, সে সবেরও একটি মূল্য পাওয়া দরকার। যে জন্য এটি (এলসি) একটু সীমিত করা হয়েছে। সময় ভালো হলেই বিদেশ থেকে ফল আমদানির পথ খুলে দেয়া হবে।

ভোক্তাদের ফলাহারের চাহিদা পূরণে আপাতত দেশীয় ফলমূলের ওপর ভরসা করার পরামর্শ দিয়েছেন টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, ‘এখন দরকার ডলার সেভ করা। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে যেটা অপরিহার্য, সেটিতেই বেশি জোর দেয়া হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর