ভারতীয় শিল্পগ্রুপ আদানির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।
রোববার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সচিবালয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এ কথা জানিয়েছেন।
নসরুল হামিদ বলেন, আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কমিশনিং হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই, মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।
তিনি বলেন, আদানির বিদ্যুৎ নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই। আমরা প্রতিযোগিতামুলক বাজার দরেই বিদ্যুৎ পাব। এ নিয়ে কোনো সংশয়ের সুযোগ নেই। মার্চে প্রথম ইউনিট থেকে আসবে ৭৫০ মেগাওয়াট। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে এপ্রিল মাসে।
ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসার কথা আগামী ২৬ মার্চ। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে জানানোও হয়। তবে এখন প্রায় এক মাস এগিয়ে এনে ২৮ ফেব্রুয়ারি আনার কথা বলছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আসছে সেচ ও গীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আমাদের বেশকিছু কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। রামপাল এসেছে, এসএস পাওয়ার আসবে, বরিশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র আসবে। সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ নিয়েছি, সেচ মৌসুম নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
স্পর্ট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি শুরু হয়েছে। গ্যাস সরবরাহ বেড়ে যাবে। স্পর্ট মার্কেট থেকে ৮ কার্গো এলএনজি আমদানির পরিকল্পনার কথাও জানান প্রতিমন্ত্রী।গ্যাসের নতুন দর ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর না করার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের দাবির বিষয়টি নাকচ করে দেন তিনি।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সারসংক্ষেপে বলা হয়, আদানি গ্রুপের গোড্ডা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বাণিজ্যিক উৎপাদন (সিওডি বা কমার্শিয়াল অপারেশন ডেট) ২০২৩ সালের ২৬ মার্চ ঠিক করা হয়েছে।
এরই মধ্যে গত ২৪ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পুঁজিবাজার বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ আদানির শেয়ারবাজারে বাজারে কারসাজি এবং অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতির বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরে ওই তথ্যের ভিত্তিতে আদানি গ্রুপের শেয়ার মার্কেট থেকে ১১০ বিলিয়ন ডলার হারানোর তথ্য দেয় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।