সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সূচক পড়লেও পুঁজিবাজারে গত পাঁচ কর্মদিবস লেনদেন বৃদ্ধির বিষয়টি আশা জাগাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের মনে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ছয় কর্মদিবস পর লেনদেন ফের সাত শ কোটির ঘর অতিক্রম করল, যা ১২ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ। কমেছে এসেছে লেনদেন না হওয়া কোম্পানির সংখ্যাও।
ডিসেম্বরে তিন শ কোটি থেকে দুই শর ঘরে নেমে যাওয়া লেনদেন ৪ জানুয়ারি বাজার সংশ্লিষ্টদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বৈঠকের পর বাড়তে থাকে। ১৮ জানুয়ারি হাজার কোটি টাকা ছুঁইছুঁই হওয়ার পর বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির খবরে উল্টো পথে ছোটে লেনদেনের চাকা। গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার লেনদেন নেমে আসে চার শ কোটির ঘরে।
সপ্তাহটিতে প্রথম তিন কর্মদিবস সূচক পতন ও শেষের দুই কর্মদিবস সূচক বাড়লেও চার দিনই লেনদেন বেড়েছে। এর মধ্যে শুধু বৃহস্পতিবার ১০৬ কোটি ৪৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা বেড়ে হাতবদল হয় ৬৮৭ কোটি ১২ লাখ ২২ হাজার টাকার শেয়ার, বন্ড ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
সেখান থেকে ৬৫ কোটি ৬২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা বেড়ে রোববার লেনদেন হয়েছে ৭৫২ কোটি ৭৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা, যা ১২ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ১৮ জানুয়ারি ৯৩৪ কোটি ২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
কমেছে এসেছে লেনদেন না হওয়া কোম্পানির সংখ্যা। রোববার একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি এমন কোম্পানির সংখ্যা ছিল ১৫টি। অথচ আগের কর্মদিবসে কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি ৫৬টি কোম্পানির।
দরবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে তিন গুণের বেশি। তবে অপরিবর্তিত দরে লেনদেনের সংখ্যা তারও বেশি। ৪৩টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয়েছে ১৩৩টির।লেনদেন খরার মধ্যে আড়াই শর বেশি কোম্পানি ফ্লোর প্রাইসে পড়ে ছিল। ধীরে ধীরে শতাধিক কোম্পানি ফ্লোর প্রাইস থেকে বেরিয়ে আসলেও রোববার ফের আরও পাঁচটি ঢুকেছে সেই তালিকায়। এ ছাড়া ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হয়েছে আরও ১৭১টির। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল ১৬৫।
আগের সপ্তাহের রবি, সোম ও মঙ্গলবার মিলিয়ে ২৯ পয়েন্ট সূচক পতনের পর বুধ ও বৃহস্পতিবার সূচক বেড়েছিল ২৭ পয়েন্ট। সেখান থেকে ৮ পয়েন্ট কমে রোববার সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে।
লেনদেনের বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এক সময় শতাধিক কোম্পানির কোনো শেয়ার লেনদেন হতো না। ফ্লোর প্রাইসে আটকে ছিল আড়াই শর বেশি কোম্পানি। সেখান থেকে বাজারে গতি ফিরছে বাজারে। ভলিউম বাড়ছে। বাজারের সব ইনডিকেটরই ভালো। বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে।’