বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৪৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন দিল আইএমএফ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৮:২৯

এক বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রী ঋণ অনুমোদনের তথ্য জানিয়েছেন। তবে এ বিযয়ে আইএমএফের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

বাংলাদেশের জন্য বহুল প্রতীক্ষিত সাড়ে ৪ বিলিয়ন (৪৫০ কোটি) ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত ৯টার দিকে অনুষ্ঠিত আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে এ ঋণ অনুমোদন করা হয় বলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন।

মধ্যরাতে এক বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রী ঋণ অনুমোদনের তথ্য জানিয়েছেন। তবে এ বিযয়ে আইএমএফের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

গত বছরের ২৪ জুলাই ঋণ চেয়ে আইএমএফের কাছে চিঠি দেয় বাংলাদেশ সরকার। এতে পরিমাণের কথা উল্লেখ ছিল না।

পরে ১২ অক্টোবর ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণসহায়তার কথা উল্লেখ করেন।

অর্থমন্ত্রী বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই আইএমএফের প্রতি এই ঋণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ এবং মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দসহ যে দলটি এই ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন, তাদের প্রতি জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

‘বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ অর্থ মন্ত্রণালায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যারা এই ঋণ প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করেছেন তাদের প্রতিও রইল আমার কৃতজ্ঞতা।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেছিলেন যে আইএমএফ হয়তো বা এই ঋণ দেবে না। তারা ভেবেছিল আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকা দুর্বল তাই আইএমএফ এ ঋণ প্রদান থেকে বিরত থাকবে। এ ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে এটাও প্রমাণিত হলো যে, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকা শক্ত ভিতের ওপরে দাঁড়িয়ে আছ এবং অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো।’

গত ৯ নভেম্বর আইএমএফ বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার বিষয়ে সম্মতি জানায়। তবে সেটি ছিল কর্মকর্তা পর্যায়ের ঐকমত্য।

সংশ্লিষ্টদের আশা, ৪৫০ কোটি ডলারের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তিতে মিলতে পারে ৪৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। ২০২৬ সাল পর্যন্ত ৭ কিস্তিতে মিলবে পুরো ঋণের অর্থ।

আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ যে ঋণ পাচ্ছে, তা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সহায়তা করবে বলে আশা করছে সংস্থাটি। আইএমএফ মনে করছে, রাষ্ট্রীয় তহবিল বৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির পাশাপাশি বর্ধিত মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় এই ঋণ ঢাকার জন্য বহুলাংশে একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও।

আইএমএফের মতে, ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ স্বল্প মেয়াদে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিকে ঠাণ্ডা করবে। একই সঙ্গে তাদের পরামর্শ অনুসরণ করে বাংলাদেশকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেবে। যেমন জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, মধ্যমেয়াদি স্থিতিশীলতা নির্ভর করে মূল্যস্ফীতি কমানো এবং পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির ওপর।

সরকার আশা করছে, ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া যাবে। প্রথম কিস্তি বাবদ ৪৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলার মিলবে। এরপর প্রতি ছয় মাস পরপর একটি করে কিস্তি দেয়া হবে। সাত কিস্তিতে দেয়া এ ঋণের শেষ কিস্তি পাওয়া যাবে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে। ঋণের গড় সুদহার ২ দশমিক ২ শতাংশ।

বাংলাদেশ গত জুলাই মাসে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য আবেদন করার পর শর্তসাপেক্ষে ঋণ দিতে রাজি হয় আইএমএফ। গত অক্টোবরে ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভার ফাঁকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের নেতৃত্বে একটি দল আইএমএফের সঙ্গে দেখা করে। বৈঠক শেষে গভর্নর সাংবাদিকদের বলেন, আইএমএফ থেকে ঋণ পাবে বাংলাদেশ।

এ বিভাগের আরো খবর